পুণে টেস্ট শেষ হয়ে গিয়েছিল আড়াই দিনে। বিশ্রিভাবে হারতে হয়েছিল হোম টিমকে। ৩৩৩ রানে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল বিরাট কোহালিদের। এর পরই নড়েচড়়ে বসে আইসিসি। ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড আইসিসিতে এই পিচ সম্পর্কে রিপোর্টে লেখেন ‘খারাপ’ পিচ। আইসিসির পক্ষ থেকে বিসিসিআই-এর কাছেও পাঠিয়ে দেওয়া হয় সেই রিপোর্ট। শনিবার তারই জবাব দিল বিসিসিআই। যেখানে ম্যাচ রেফারির রিপোর্টের সঙ্গে সহমত পোষণ করেনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আইসিসিকে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সে কথা।
আরও খবর: স্টার্কের জায়গায় ভারত সফরে ডাক পেলেন কামিন্স
এই পিচ নিয়ে প্রথম থেকেই সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। মুখ খুলেছিলেন প্রাক্তনরা। যেখানে অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার স্টিভ ও’কিফ ম্যাচ শেষ করেছিলেন ৭০ রানে ১২ উইকেটে। তাঁর বোলিংয়েই উড়ে গিয়েছিল ভারতীয় ব্যাটিং। এই ঘটনার দু’সপ্তাহ পর জবাব দিল বিসিসিআই। বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘ওটা খারাপ পিচ ছিল না। অস্ট্রেলিয়া ২৬০ ও ২৮৫ রান তুলেছিল। খারাপ পিচ মানে পিচে আন ইভেন বাউন্স থাকা, ব্যাটসম্যানরা আহত হচ্ছে। এমন কিছু কী হয়েছে? আমি এটা মেনে নিচ্ছি ম্যাচ দ্রুত শেষ হয়ে গিয়েছে। ভারত বড় রান করতে পারেনি (১০৫ ও ১০৭)। কিন্তু এর মধ্যেই স্টিভ স্মিথ সেঞ্চুরি করেছে দ্বিতীয় ইনিংসে। লোকেশ রাহুল হাফ সেঞ্চুরি করেছে। যদি উপমহাদেশের পিচে ঘূর্ণি না থাকে তা হলে কোথায় থাকবে। আমরা মনে করছি না এটা খারাপ পিচ ছিল। পুণে উইকেটকে খারাপ বলাটা ঠিক না।’’
সম্প্রতি বার বারই ভারতের পিচ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আইসিসির নজরে আসছে। ২০১৫র ডিসেম্বরে নাগপুরের পিচ নিয়েও একই প্রশ্ন উঠেছিল। খারাপ আখ্যা পেয়েছিল সেই পিচও। এরকম নানা উদাহরণ টেনে এনেছে বিসিসিআই। বলা হয়েছে, ‘‘যদি পিচে ঘূর্ণি থাকে তা হলে সেটা খারাপ। যদি এটা সিমিং পিচ হয় যেমনটা ২০১৫তে নটিংহ্যামে ছিল। যখন ইংল্যান্ড পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড ১৫ রানে আট উইকেট নিয়েছিলেন। তখন বলা হয়েছিল সেটা ব্যাটসম্যানের টেকনিকের সমস্যা। দু’রকম কথা। নাগপুরের সময়ও আমরা এই উদাহরণ দিয়েছিলাম। যদিও আইসিসিতে সেটা গ্রহনযোগ্য হয়নি।’’ বিসিসিআই-এর জবাব পাওয়ার পর ফুটেজ দেখে সিদ্ধান্ত নেবে আইসিসি। এই প্রথম পুণে টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy