বাংলাদেশের বাঘের গর্জন শুনেছে গোটা বিশ্ব। এবার ভবিষ্যতের বাঘেদের গর্জনও শুরু হয়ে গেল বিশ্বকাপের আসর থেকেই। শুরুর আগে থেকেই টগবগ করে ফুটছিল পুরো দেশ। সবাইকে চমকে দিতে ক্রমশ তৈরি হচ্ছিলেন দেশের ক্রিকেটের নতুন প্রজন্ম। চমকের শুরু হয়ে গেল আজ থেকেই। চট্টগ্রামের জামুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই ম্যাচের দখল নিয়ে নিয়েছিলেন হাসান, পিনাক, জাকিররা। শেষটাও করলেন তাঁরাই। শুরুটা দারুণ করল বাংলাদেশের যুব দল। অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সহজেই হারিয়ে মানসিকভাবেও অনেকটা এগিয়ে গেল। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ওপেন করতে এসে প্রথমে আউট হয়ে ফিরে যান হাসান। মাত্র ছ’রানই করতে পারেন তিনি। এর পর পিনাক ঘোষের সঙ্গে দলের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন জয়রাজ শেখ।
ওপেনার পিনাক ঘোষ রান আউট হওয়ার আগে খেলেন ৪৩ রানের ইনিংস। ৪৬ রান করে যোগ্য সঙ্গত জয়রাজ শেখের। এই দুই ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে বড় রানের দিকে নিয়ে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১৭ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এর পর আর কেউ বড় রান করতে না পারলেও নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট নেন উইয়ান মুল্ডার।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাই ভাল করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনার লিয়াম স্মিথ একদিকে ব্যাট হাতে যখন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তখন উল্টোদিকে একের পর এক উইকেটের পতন দক্ষিণ আফ্রিকার রানের ভীতটাই তৈরি করতে দিল না। স্মিথ সেঞ্চুরি করলেন ঠিকই। কিন্তু উল্টো দিকে কেউ ব্যাট হাতে সমর্থন করতে পারল না স্মিথকে। নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার আগেই ১৯৭ রানে শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও মহম্মদ সইফুদ্দিন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এক কথায় নতুন প্রজন্মের উত্থান শুরু হয়ে গেল বিশ্বকাপের আসর থেকেই। এরাই যে ভবিষ্যতের তারকা। ভবিষ্যতের সাকিব, মুশফিকুরদের সামনে এখন দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংকল্প। দেশের মাঠ থেকেই শুরু হয়ে গেল সেই লড়াই।
আরও খবর: যুব বিশ্বকাপ শুরু, মেতে উঠল বাংলাদেশ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy