লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের দিনেই নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মনমোহন সিংহ। কিন্তু সনিয়া ও রাহুল গাঁধী সে দিন বিজেপি-কে অভিনন্দন জানালেও মোদীর নাম মুখেও আনেননি। এ নিয়ে চর্চা শুরু হওয়ার পর অবস্থান পাল্টান দু’জনে। মোদীকে চিঠিতে অভিনন্দনও জানান সনিয়া। আর আজ কংগ্রেসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, পরশু নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দলের সভানেত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন সহ-সভাপতি রাহুলও।
একই সঙ্গে সিপিএম নেতৃত্বের তরফেও আজ জানিয়ে দেওয়া হল, মোদীর শপথে দলের তরফে হাজির থাকবেন পলিটব্যুরো নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। যদিও আমন্ত্রণপত্র পেয়েও উপস্থিত থাকার ব্যাপারে নিজের অপারগতার কথা আগাম জানিয়ে দিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
সনিয়া, রাহুল ও ইয়েচুরির উপস্থিত থাকার সিদ্ধান্তকে আজ স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বর্ষীয়ান সদস্য জনার্দন দ্বিবেদী বলেন, “বিজেপির সঙ্গে রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে সনিয়া-রাহুলের মতান্তর রয়েছে ঠিকই। কিন্তু লোকসভা নির্বাচন গণতন্ত্রের উৎসব। দেশের প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সেই উৎসবেরই অঙ্গ।” দ্বিবেদীর মতে, প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করাটা সংসদীয় রাজনীতির শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে এবং তা পালনে কংগ্রেস কখনওই ত্রুটি রাখেনি। প্রসঙ্গত, অটলবিহারী বাজপেয়ীর শপথেও উপস্থিত ছিলেন সনিয়া। আজ কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবের তালিকায় নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানানোর বিষয়টিও রাখা হয়েছে।
মোদীর শপথে যোগ দেওয়ার জন্য সমস্ত আঞ্চলিক দলের নেতা-নেত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীদের রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফ থেকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য আসছেন না। তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে থাকছেন মুকুল রায় ও অমিত মিত্র। একই ভাবে মানিকবাবুর প্রতিনিধি হিসেবে আসছেন ত্রিপুরার পূর্তমন্ত্রী বাদল চৌধুরী।
বিজেপি নেতারা অবশ্য এ নিয়ে আজ কোনও বিতর্কে ঢোকেননি। দলের মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, “শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ-সহ বিদেশি রাষ্ট্রনেতারা আসছেন। সেখানে সব দলের শীর্ষ নেতারা থাকলে গণতন্ত্রই আখেরে মজবুত হবে। সবাই যে অন্তত প্রতিনিধি পাঠাতে রাজি হয়েছেন, এতেই আমরা খুশি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy