হরিয়ানায় গাছে ধাক্কা স্কুল বাসের। ছবি: এক্স।
হরিয়ানার মহেন্দ্রনগরে স্কুল বাস উল্টে ছয় পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার তিন জন। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, স্কুল পরিচালনাকারী ট্রাস্টের সম্পাদক এবং বাসের চালক। অভিযোগ, বাস চালানোর সময় চালক মত্ত ছিলেন। গাছে সেটি ধাক্কা মারার আগে বাস থেকে লাফিয়ে নেমে যান তিনি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত ১৪ জন পড়ুয়াকে চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইদের দিন কেন ছুটি দেওয়া হয়নি স্কুলে, তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সীমা ত্রিখা।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা স্কুল বাসে চেপে জিএল পাবলিক স্কুলে যাচ্ছিল। বাসে ছিল ৩৩ জন পড়ুয়া। একটি গাছে ধাক্কা দিয়ে বাসটি উল্টে যায়। বাসটি ওই বেসরকারি স্কুলেরই। তার নথিপত্র থেকে জানা গিয়েছে যে, ছ’বছর আগে, ২০১৮ সালে বাসটির ফিটনেসের শংসাপত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্য পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিককে ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
ইদের দিন স্কুল কেন খোলা, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। হরিয়ানার শিক্ষামন্ত্রী সীমা বলেন, ‘‘স্কুল বৃহস্পতিবার খোলা থাকা উচিত নয়। শো কজ় নোটিস পাঠানো হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। সকল বেসরকারি স্কুলকে হলফনামা জমা করতেও বলা হয়েছে। সেখানে তাদের জানাতে হবে যে, তাদের চালানো বাস, গাড়ি নিয়ম মেনে পথে নেমেছে।’’ বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনায় তদন্তে জানা গিয়েছে, বাসের চালক মত্ত অবস্থায় ছিলেন। এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানান, কোনও স্কুলবাসের চালক মত্ত হলে, চালক, স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং বাস মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে।
হরিয়ানার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘হরিয়ানার মহেন্দ্রগড়ের বাস দুর্ঘটনা দুঃখজনক। দুর্ঘটনায় যাঁরা সন্তানদের হারিয়েছেন, তাঁদের সমবেদনা জানাই। আহত শিশুদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। রাজ্য সরকারের অধীনে স্থানীয় প্রশাসন আহত এবং তাদের পরিবারকে সব রকম সাহায্য দিচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy