নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। তাই দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দ্রুত মেটানো উচিত। আমেরিকার পত্রিকা ‘নিউজ়উইক’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সাক্ষাৎকারে রামমন্দির, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক, কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। তবে লোকসভা ভোটের আগে মোদীর চিন সংক্রান্ত মন্তব্যকে কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের অবস্থান হিসাবেই ধরে নিচ্ছেন অনেকে।
সাক্ষাৎকারে মোদী বলেন, “ভারতের কাছে চিনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি অর্থবহ এবং গুরুত্বপূর্ণ। আমার বিশ্বাস, আমাদের সীমান্তের সুদীর্ঘ পরিস্থিতির দ্রুত মীমাংসা করা উচিত। সে ক্ষেত্রে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে যে অস্বাভাবিকতা রয়েছে, তাকে আমরা পিছনে সরিয়ে দিতে পারব।” ভারত-চিন সম্পর্ককে গোটা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলেও অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় দু’দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার পর পূর্ব লাদাখের বেশ কিছু এলাকায় ভারতের অংশে ঢুকে পড়ার অভিযোগ ওঠে চিনের বিরুদ্ধে। তার পর কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে একাধিক বৈঠকের পরেও স্থায়ী কোনও ঐকমত্যে আসতে পারেনি দিল্লি এবং বেজিং। আপাতত দুই দেশই সীমান্তে ‘শান্তি এবং স্থিতাবস্থা’ বজায় রেখেছে। এই প্রসঙ্গে মোদী বলেন, “আমার আশা এবং বিশ্বাস, কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে ইতিবাচক ও গঠনমূলক বোঝাপড়ার মাধ্যমে আমাদের সীমান্তে শান্তি এবং স্থিতাবস্থা ফিরে আসবে।”
রামমন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে মোদী ওই সাক্ষাৎকারে জানান, প্রভু রামের জীবন দেশের সভ্যতার মূল্যবোধ এবং ধারণার প্রতীক। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার প্রশ্নে মোদী আরও এক বার সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বার্তা দেন ইসলামাবাদকে। জানান, ভারত সর্বদা শান্তি এবং সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশের পক্ষে। তবে ইমরান খানের গ্রেফতারি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। জানিয়েছেন বিষয়টি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ নিয়ে মোদী প্রশ্নকর্তাকে বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরে কী কী ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে, তা স্বচক্ষে দেখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি কিংবা অন্য কেউ কী বলল, তা শোনার প্রয়োজন নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy