ওরেভা গ্রুপের কর্তা জয়সুখ মোরবী সেতু বিপর্যয়ের পর থেকেই পলাতক ছিলেন। ফাইল চিত্র ।
আত্মসমর্পণ করলেন গুজরাতের মোরবী সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত জয়সুখ পটেল। সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ওরেভা গ্রুপের কর্তা জয়সুখ ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন। মঙ্গলবার মোরবীর মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
গত সপ্তাহে আদালতে তদন্তকারী দলের তরফে একটি ১২৬২ পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল। সেখানেও অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে জয়সুখের নাম ছিল। গত বছরের অক্টোবর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। চার্জশিটেও তাকে ‘পলাতক’ হিসাবেই উল্লেখ করা হয়েছিল।
মোরবীর মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের বিচারক এম জে খান, এর আগে জয়সুখের বিরুদ্ধে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। গ্রেফতারির ভয়ে জয়সুখ আগাম জামিন চেয়ে ২০ জানুয়ারি মোরবী আদালতের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সরকারি আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় শুনানি ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়। এর পর মঙ্গলবার নিজেই আত্মসমর্পণ করলেন তিনি।
২০২২-এর অক্টোবরে মোরবীর সেতু ভেঙে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আহতও হয়েছিলেন বহু মানুষ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ব্রিটিশ আমলের ওই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল ওরেভা গ্রুপের উপরে। মেরামতির জন্য ওই সেতু দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিল। অভিযোগ ওঠে, সঠিক ভাবে মেরামত না করেই সংস্থার তরফে সেতু আবার চালু করে দেওয়া হয়। এ-ও অভিযোগ ওঠে যে, সেতু মেরামতির জন্য মোট ২ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও সংস্থার তরফে কেবল ১২ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। তার ফলেই ঘটে বিপত্তি।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ওরেভা গ্রুপের চার কর্মী-সহ মোট ন’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে দু’জন ওরেভার ম্যানেজার এবং দু’জন কেরানি ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy