এটিই তাঁর জীবনের সবচেয়ে সুখের দিন। নিজের হাতে গড়ে তোলা সন্তানের দুর্দান্ত ভূমিকায় উচ্ছ্বসিত তিনি। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর থেকেই জম্মু, পঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাতে লাগাতার ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেই হামলাকে প্রতিহত করছে দারুণ ভাবে। আর এ কাজে যে সব সামরিক অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে, তার মধ্যে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা অন্যতম। পশ্চিম ভারত লক্ষ্য করে যে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে, প্রতিটি হামলাকেই রুখে দিচ্ছে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। পাক হামলার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে এস ৪০০, এল ৭০, জ়ু ২৩ এমএম, শিল্কা এবং আকাশ।
আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা যে ভাবে পাক হামলাকে রুখে দিচ্ছে, তা দেখে উচ্ছ্বসিত ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ডিআরডিও)-এর প্রাক্তন বিজ্ঞানী প্রহ্লাদ রামরাও। তিনি বলেন, ‘‘এটি আমার জীবনের সবচেয়ে সুখের দিন। আমার সন্তান এত নিখুঁত ভাবে কাজ করছে, তা দেখে আমি উচ্ছ্বসিত। যে ভাবে পাক ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করছে, তা সত্যিই অভাবনীয়। সন্তানকে এত ভাল পারফর্ম করতে দেখে কার না ভাল লাগে!’’
ঘটনাচক্রে, আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের অন্যতম সদস্য ছিলেন রামরাও। তিনি ‘প্রজেক্ট ডিরেক্টর’ ছিলেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম তাঁকে এই প্রকল্পের জন্য বেছে নিয়েছিলেন। বছর আটত্তরের বিজ্ঞানী জানান, এই ক্ষেপণাস্ত্রের সবচেয়ে বড় শক্তি হল, এটি ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার, এমনকি এফ ১৬-এর মতো যুদ্ধবিমানকেও রুখে দিতে সক্ষম। পাকিস্তানের হামলা প্রতিহত করতে এস ৪০০ এবং অন্য সামরিক অস্ত্রের সঙ্গে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাও প্রতিরক্ষার বর্ম তৈরি করেছে ভারতের আকাশসীমায়।
স্বল্প থেকে মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র এটি। ভারতের আকাশসীমার অন্যতম প্রহরী। সাড়ে ৪ কিমি থেকে ২৫ কিমি দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁত নিশানা করতে পারে। ঘণ্টায় সর্বাধিক গতিবেগ ৪২০০ কিলোমিটার। ১০০ মিটার থেকে ১৮ কিলোমিটার উচ্চতায় লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে সক্ষম। ৬০ কেজি উচ্চমাত্রার বিস্ফোরক বহন করতে সক্ষম।