ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। ছবি: ইসরো।
গত বুধবারই চাঁদের মাটিতে সফল অবতরণ করেছে চন্দ্রযান-৩। গোটা বিশ্বে হইহই পড়ে গিয়েছে ভারতের এই ঐতিহাসিক সাফল্যে। যেটির পায়ে ভর করে চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে চন্দ্রযান, সেই ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর নকশা নাকি তিনিই তৈরি করেছেন! এমনই দাবি করে বসলেন গুজরাতের সুরাতের এক যুবক। আর তাঁর এই দাবিকে ঘিরে সেখানে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যুবকরে দাবি সত্যি কি না, তা নিয়ে তদন্তেও নেমেছে পুলিশ।
সুরাতের পুলিশ কমিশনার অজয় তোমর জানিয়েছেন, মিতুল ত্রিবেদী নামে এক যুবক ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর নকশা বানানোর দাবি করেছেন। শুধু তাই-ই নয়, নিজেকে তিনি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানী বলেও দাবি করেছেন। তবে মিতুলের দাবি সত্যি কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য অপরাধদমন শাখাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে এই দাবি ভুয়ো বলেই মনে করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) হেতাল পটেল।
বুধবার চন্দ্রযান-৩ চাঁদে অবতরণ করার পর দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নিজেকে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর নকশা তৈরি করেছেন। তিনি আদৌ ইসরোর বিজ্ঞানী কি না তার নথি দেখাতে বলা হলে, সে সব কিছুই দেখাতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার। মতুল আরও দাবি করেন, চন্দ্রযান-২ প্রকল্পের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। চন্দ্রযান-৩ প্রকল্পের জন্যও তাঁকে ডাকা হয়েছিল। ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর আসল যে নকশা ছিল, তাতে বেশ কিছু বদল ঘটিয়েছেন তিনি। এমনও দাবি করেছেন সুরাতের এই যুবক।
এই দাবির স্বপক্ষে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি মিতুলকে নথিপত্র দেখাতে বলে। ডেপুটি পুলিশ কমিশনারও মিতুলকে ডেকে পাঠান। কিন্তু মিতুল যে ইসরোর বিজ্ঞানী, এমন কোনও নথি দেখাতে পারেননি বলে দাবি ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের। তদন্তে জানা গিয়েছে, তিনি বাণিজ্য বিভাগ নিয়ে স্নাতক করেছেন। শুধু ইসরোই নয়, নাসার সঙ্গেও নাকি কাজ করেছেন, এমনও দাবি করেছেন মিতুল। পুলিশ জানিয়েছে, আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি সত্যিই এই দাবি ভুয়ো হয়, তা হলে যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy