গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
‘ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে বাধ্যতামূলক ভাবে ‘ভারত’ নামে দেশকে চিহ্নিত করার আবেদন জানিয়ে দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলা সাত বছর আগে খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আর তা করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকারের সম্মতিতেই।
নিরঞ্জন ভটওয়াল নামে মহারাষ্ট্রের এক ব্যক্তি ২০১৫ সালে ‘ইন্ডিয়া’ নাম বাতিল করে কেবলমাত্র ‘ভারত’ নামটিকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। কিন্তু সেই সময়, সুপ্রিম কোর্টের তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুর এবং বিচারপতি ইউইউ ললিত সেই আবেদন খারিজ করে দেন।
২০১৬ সালের ওই মামলার রায় ঘোষণা করতে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, দেশের প্রতিটি নাগরিকের ‘ইন্ডিয়া’ এবং ‘ভারত’ দু’টি নামই ব্যবহারের অধিকার রয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, ঘটনাচক্রে ওই রায়ের আগে ২০১৫-র নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে মোদী সরকার জানিয়েছিল, ভারতীয় সংবিধানের ১ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘ইন্ডিয়া’ এবং ‘ভারত’ দু’টি নামই রয়েছে। তার পরিবর্তন ঘটনোর প্রয়োজন নেই।
সংবিধানের ১ নম্বর অনুচ্ছেদে লেখা রয়েছে, ‘ইন্ডিয়া, অর্থাৎ ভারত, রাজ্যগুলির সমষ্টি’। অর্থাৎ ‘ইন্ডিয়া’ এবং ‘ভারত’, দুই নামেই সাংবিধানিক সিলমোহর রয়েছে। মোদীর জামানায় ২০১৬ সালে দুই বিচারপতির বেঞ্চ রায়ে ‘ইন্ডিয়া’ নাম বাতিলের আর্জি খারিজ করে বলেছিল, ‘‘এ ধরনের আবেদন অর্থহীন।’’
প্রসঙ্গত, জি২০ শীর্ষবৈঠকে অংশ নেওয়া বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কাছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্র মঙ্গলবার প্রকাশ্যে আসার পরেই জল্পনা, লোকসভা ভোটের আগে দেশের নাম শুধুই ‘ভারত’ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এ সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল পাশের জন্যই আগামী ১৮-২২ ডিসেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে বলেও জল্পনা দানা বেঁধেছে। যদিও সরকারের তরফে এখনও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy