সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। —ফাইল চিত্র।
‘করপোরাল পানিশমেন্ট’ বা দৈহিক শাস্তির কথা বলতে গিয়ে অতীতের স্মৃতিচারণ করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। শোনালেন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময়কার স্মৃতি। জানালেন যে, মন থেকে সেই স্মৃতির দাগ এখনও মুছে ফেলতে পারেননি তিনি।
অভিযুক্ত নাবালক কিংবা নাবালিকাদের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে একটি সম্মেলনের আয়োজন করে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। রবিবার সেখানেই বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “আপনি শিশুদের সঙ্গে যেমন আচরণই করুন, তা তাদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে।” তার পরেই নিজের ছেলেবেলার একটি স্মৃতি শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরেন তিনি। দেশের বিচার বিভাগের শীর্ষ পদাধিকারী বলেন, “আমি কখনও স্কুলের একটি দিনের কথা ভুলব না। পঞ্চম শ্রেণিতে আমায় বেত দিয়ে মারা হয়েছিল।”
কী কারণে তাঁকে বেত্রাঘাত করে হয়েছিল, তা-ও প্রকাশ্যে এনেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি। জানিয়েছেন, স্কুলে তাঁকে সেলাই সংক্রান্ত কাজ শেখানো হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট ক্লাসের দিনই তিনি সঠিক মাপের সূচ নিয়ে যেতে ভুলে গিয়েছিলেন। সেই দিনের অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমার এখনও মনে আছে, আমি শ্রেণিশিক্ষককে অনুরোধ করেছিলাম যে, আমার হাতে নয়, পিছন দিকে বেত দিয়ে মারুন। কিন্তু উনি হাতের চেটোয় মারতে থাকেন।” কষ্ট পেলেও লজ্জায় বাড়িতে এই শাস্তির কথা জানাতে পারেননি বিচারপতি চন্দ্রচূড়। দশ দিন ধরে হাতের দাগ লুকিয়ে ছিলেন।
প্রধান বিচারপতি আরও জানান, তাঁর সেই শারীরিক যন্ত্রণা সময়ের নিয়মেই হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু মনে দগদগে হয়ে রয়ে গিয়েছে এই ঘটনার স্মৃতি। এখনও কাজের মধ্যে সেই স্মৃতি তাঁকে তাড়া করে বেড়ায় বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “এই ধরনের ঘটনা ছোটদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy