এই বিমানে ছিলেন বিহারের একই পরিবারের সাত জন, দাবি স্থানীয়দের। ফাইল চিত্র।
নেপালে বিমানে দুর্ঘটনার খবরে ভয় ও আতঙ্ক গ্রাস করল বিহারের ধনুশার মিথিলাকে। মুক্তিনাথ দর্শনে গিয়েছিলেন সেখানকার বাসিন্দা রাজনকুমার গোলে ও তাঁর পরিবার। কিন্তু তাঁদের কারও কোনও খোঁজ নেই আর। স্থানীয়দের দাবি, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানেই ছিলেন পরিবারের সাত সদস্য।
পোখারা থেকে তারা বিমানে উঠেছিলেন রাজনকুমার গোলে, তাঁর বাবা বাহাদুর গোলে, মা রামায়া গোলে, কাকা পুরুষোত্তম গোলে, কাকিমা তুলসিদেবী, মামা মকর বাহাদুর এবং সুকুমায়া তমাল। পরিবার জানিয়েছে, তাঁদের কারও কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ পোখরা থেকে জমসম যাওয়ার পথে বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত একটি বিমান ২২ জন যাত্রীকে নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। নিখোঁজ হওয়ার আগে শেষবার বিমানটিকে দেখা গিয়েছিল নেপালের মুস্তাঙ্গের জমসমের আকাশেই। তবে সেখানে অবতরণ করার আগেই বিমানটি ধবলগিরি পাহাড়ের দিকে ঘুরে যায়। তার পর আর বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
তুষারপাতের জন্য নেপালে ভেঙে পড়া বিমানের খোঁজ মাঝপথেই বন্ধ করতে হয়েছিল রবিবার। সোমবার সকালে তল্লাশি অভিযান শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই খোঁজ পাওয়া গিয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত টুইন-ইঞ্জিন বিমানটির। যার ২২ জন যাত্রীর মধ্যে ৪ জন ভারতীয় ছিল বলে জানা গিয়েছিল বিমান সংস্থা সূত্রে। এ ছাড়া, ছিলেন দু’জন জার্মানি, ১৩ জন নেপালি এবং তিন জন বিমান কর্মী। কিন্তু বিহারের ওই পরিবারের দাবি, তাঁদের সাত জন সদস্য ছিলেন ওই বিমানে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy