Advertisement
১১ নভেম্বর ২০২৪

মেয়ের ডিএনএ পরীক্ষা চেয়ে কোর্টে

তার পরেই থানায় অভিযোগ করেছিলেন আজফারুল। দাবি তুলেছিলেন, ডিএনএ পরীক্ষা হোক। কিন্তু মুর্শিদাবাদের বাইরে, অন্য কোনও হাসপাতালে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৫৪
Share: Save:

সন্তানের জন্মের পরে যখন সদ্যোজাত শিশুকে প্রথম মায়ের কোলে দেওয়া হয়, তখনই মুর্শিদাবাদের আজফারুল ইসলামের সন্দেহ হয়েছিল, সন্তানটি তাঁদের নয়। শিশু বদলে গিয়েছে। কন্যাশিশুটিকে দেখে সদ্যোজাত বলেও মনে হয়নি। বরং মনে হয়েছিল, তার বয়স বেশ কয়েক দিন। তার পরেই থানায় অভিযোগ করেছিলেন আজফারুল। দাবি তুলেছিলেন, ডিএনএ পরীক্ষা হোক। কিন্তু মুর্শিদাবাদের বাইরে, অন্য কোনও হাসপাতালে।

কলকাতা হাইকোর্টে সুরাহা না পেয়ে এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন আজফারুল। আজ বিচারপতি এন ভি রামান্না এবং বিচারপতি এস আব্দুল নাজিরের বেঞ্চ এ বিষয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি, জেলার পুলিশ সুপার ও রাজ্য প্রশাসনের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিস জারি করেছে। আজরাফুলের আইনজীবী কবীরশঙ্কর বসু বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদের বাইরে ডিএনএ পরীক্ষার দাবিও প্রাথমিক ভাবে যুক্তিসঙ্গত বলে মেনে নিয়েছে শীর্ষ আদালত। কারণ পশ্চিমবঙ্গে এর আগেও শিশু পাচারের ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা কোর্টকে জানিয়েছি।’’

আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানির পরে আজফারুল জানান, ২০১৭-র ১৫ ডিসেম্বর বহরমপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তাঁর স্ত্রী সন্তান প্রসব করেন। শিশুকে মায়ের কোলে দেওয়ার পরেই তাঁদের সন্দেহ হয়। কারণ দেখে মনে হয়েছিল, বাচ্চাটির বয়স অন্তত পাঁচ-ছ’দিন। আজফারুলের যুক্তি, ‘‘উত্তরবঙ্গে শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছিল। তা থেকে সন্দেহ বাড়ে। তার পরে পুলিশ, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফেও আপসে মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছিল।’’

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বাসিন্দা আজফারুলের যুক্তি, তিনি শিশুকন্যার ভরণপোষণ করছেন। তার সমস্ত দায়িত্ব নিতেও তৈরি রয়েছেন। কিন্তু সন্দেহ দূর করার জন্য নিজের খরচে মুর্শিদাবাদের বাইরে ডিএনএ পরীক্ষা করাতে চান। কারণ স্থানীয় হাসপাতাল ও পুলিশের যোগসাজশ থাকতে পারে। কলকাতা হাইকোর্ট এই দাবি খারিজ করেছিল। কবীরশঙ্কর বলেন, ‘‘উনি যখন সমস্ত দায়িত্ব নিতে রাজি রয়েছেন, ডিএনএ পরীক্ষার খরচ দিতেও তৈরি, তখন আপত্তি কোথায়! আমরা সুপ্রিম কোর্টে সেই যুক্তিই দিয়েছি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE