টিউডর ডিজ়িজ় কী? ছবি: সংগৃহীত।
বুকে কষ্ট, সারা দেহে প্রচণ্ড যন্ত্রণা, দরদর করে ঘাম হচ্ছে! এমন সব উপসর্গ হার্ট অ্যাটাকের হতেই পারে। তবে তা কিন্তু সাইলেন্ট অ্যাটাক নয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, হার্টে রক্তের জোগান পর্যাপ্ত না থাকলে হৃদ্যন্ত্র স্বাভাবিক ভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে 'টিউডর ডিজ়িজ়' বলা হয়। আবার অনেকেই এই রোগকে 'ইংলিশ সোয়েটিং সিকনেস'ও বলে থাকেন।
কেন হয় এই রোগ?
টিউডর ডিজ়িজ়-এর নেপথ্যে রয়েছে গাউট। এই গাউট আসলে এক ধরনের আর্থ্রাইটিস। যা স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। প্রথমে শরীরে বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে ব্যথা হয়। লাল হয়ে ফুলেও যেতে পারে। তার পর এই ব্যথা হাত, পায়ের বিভিন্ন অংশে সঞ্চারিত হয়। কারও আবার হাত, পা অবশ হয়ে যেতে পারে। যদি কারও হঠাৎ বাতের ব্যথা বেড়ে যায়, তা হলে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, এই গাউট-ই হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে। 'জামা' জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে তেমনটাই বলা হয়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে থাকলে গাউট সংক্রান্ত ভোগান্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। অস্থিসন্ধিতে জমতে থাকে উদ্বৃত্ত ইউরিক অ্যাসিড।
এই বিষয়ে বিভিন্ন গবেষণাও হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, তাঁদের করা এক সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন প্রায় ৬২ হাজার মানুষ। যাঁদের প্রত্যেকেরই গাউট রয়েছে এবং তাঁদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার জনই স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছেন। ইউরিক অ্যাসিডের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়াবিটিস থাকলে টিউডর ডিজ়িজ়ে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর মতে, গাউটের সঙ্গে প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy