ওজন কমানোর সফরে সুফল পেতে অনেকেই ‘আত্মত্যাগ’ করেন। কড়া ডায়েট থেকে শুরু করে শরীরচর্চার মতো ‘অপছন্দ’-এর সঙ্গেও নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়। আবার ডায়েটে থাকাকালীন অনেকেই বাইরের খাবার এড়িয়ে চলেন। বন্ধু বা আত্মীয়দের সঙ্গে রেস্তরাঁর খাবারের প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিতে হয়। কিন্তু রেস্তরাঁয় গিয়েও পরিমিত আহার করা যায়। ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু তার জন্য কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা উচিত।
আরও পড়ুন:
১) ডায়েটে থাকাকালীন রেস্তরাঁর লোভনীয় খাবার দেখে লোভ সংবরণ করা কঠিন হতে পারে। তাই রেস্তরাঁয় যাওয়ার আগে অল্প কিছু খেয়ে নেওয়া যেতে পারে। রেস্তরাঁয় অল্প পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে।
২) রেস্তরাঁয় মদ্যপানের মাধ্যমে অনেকে খাওয়া শুরু করেন। এই প্রবণতার ফলে অধিক মদ্যপানের আশঙ্কা তৈরি হয়। তার সঙ্গেই চলতে থাকে বিভিন্ন স্ন্যাক বা স্টার্টার। তাই আগে এক গ্লাস জল খেয়ে নেওয়া উচিত। তার ফলে শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় থাকবে। বেশি মদ্যপান করা উচিত নয়।
৩) রেস্তরাঁয় যাওয়ার প্রসঙ্গে এমন কোনও গন্তব্য বেছে নেওয়া যায়, যেখানে স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করা হয়। প্রয়োজনে নিজের পছন্দমতো, খাবারে পরিবর্তনের জন্য শেফকে নির্দেশও দেওয়া যেতে পারে। যেমন, কোনও পদে তেল বা চিজ় থাকলে তা বাদ দিয়ে বা অল্প পরিমাণে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪) অনেক সময়েই পেট ভরে যাওয়ার পরেও জোর করে খাবার খাওয়া হয়। নেপথ্যে মনের মধ্যে ভাবনা কাজ করে যে, টাকা খরচ করে খেতে এসেছি, তাই সবটা খেয়ে নিতে হবে। এই মানসিকতা থেকে বেশি খাওয়ার অর্থ ওজন বৃদ্ধি। খাবার নষ্ট করা উচিত নয়। তাই শুরুতেই অল্প পরিমাণে খাবার অর্ডার করা উচিত। পেট না ভরলে তার পর আবার অর্ডার করা যেতে পারে।
৫) রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়া একটা অভ্যাস। সপ্তাহে এক দিন থেকে নিয়ন্ত্রণ না করলে তা কখনও কখনও বেড়েও যায়। খেয়াল রাখতে হবে, ডায়েটে থাকাকালীন মাসে দু’বারের বেশি রেস্তরাঁর খাবার খাওয়া উচিত নয়। প্রস্তাব এলে অন্য পক্ষকে বিষয়টা বুঝিয়ে বলতে পারলে, বাড়িতেই খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা যায়।