Advertisement
০১ জুন ২০২৪
PCOS Diet

পিসিওসে আক্রান্ত হয়ে ওজন বেড়েছিল সারার! ওজন ঝরাতে কী কী খাওয়া ছেড়েছিলেন অভিনেত্রী?

তারকা থেকে সাধারণ মানুষ, মহিলাদের মধ্যে ক্রমশ হানা দিচ্ছে পিসিওডি। সাম্প্রতিকতম সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রতি পাঁচ জনে এক জন ভারতীয় মহিলার এই অসুখ রয়েছে। নিজেকে নিয়মে না বাঁধলে পিসিওডি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়।

পিসিওএস থেকে রেহাই পেতে কেমন ছিল সারার ডায়েট?

পিসিওএস থেকে রেহাই পেতে কেমন ছিল সারার ডায়েট? ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৪ ১২:১৮
Share: Save:

বলিউড অভিনেত্রী সারা আলি খানের ছিপছিপে শরীর এখন অনেকেরই অনুপ্রেরণা। অনেকেই তাঁর মতো তন্বী চেহারা পেতে চান। অথচ কয়েক বছর আগেও অভিনেত্রীর ওজন ছিল প্রায় ৯৬ কেজি। বড় পর্দায় অভিষেকের আগে বহু পরিশ্রম করে ওজন কমিয়েছিলেন নায়িকা। সারার এই প্রবল ওজনবৃদ্ধির নেপথ্যে ছিল ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম’ কিংবা পিসিওডি। তারকা থেকে সাধারণ মানুষ, মহিলাদের মধ্যে ক্রমশ হানা দিচ্ছে পিসিওএস। সাম্প্রতিকতম সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রতি পাঁচ জনে এক জন ভারতীয় মহিলার এই অসুখ রয়েছে। পিসিওএস থাকলে দৈনন্দিন জীবনযাপনে বড়সড় বদল আনা জরুরি। নিজেকে নিয়মে না বাঁধলে পিসিওএস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়।

পিসিওএস থাকলে মহিলাদের হরমোনের মাত্রা ওঠা-নামায় প্রভাব পড়ে। পিসিওএসের প্রভাব নানা ভাবে পড়ে ঋতুচক্রের উপরেও। তার ফলে যেমন ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়, তেমনই চেহারায় তার ছাপ পড়ে। অ্যান্ড্রোজ়েনের ক্ষরণ বেড়ে যাওয়ায় মুখ ও সারা শরীরে লোম উঠতে শুরু করে। ওজন বেড়ে যায়। ব্রণ, মুখে দাগ-ছোপ বাড়ে এবং সন্তানধারণের ক্ষেত্রে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।

ওজন বৃদ্ধি, ব্রণের সমস্যা, চুল পড়ে যাওয়া— পিসিওএসের অন্যতম উপসর্গ।

ওজন বৃদ্ধি, ব্রণের সমস্যা, চুল পড়ে যাওয়া— পিসিওএসের অন্যতম উপসর্গ।

জীবনযাত্রায় বদল না আনলে পিসিওসের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব নয়, এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল খাওয়াদাওয়ায় বদল। জেনে নিন, কোন কোন খাবার খাবেন না—

১) ভাজাভুজি একেবারেই খাওয়া চলবে না।

২) মিষ্টি নরম পানীয় খাওয়াও এমন ক্ষেত্রে খুব ক্ষতিকর।

৩) অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট খাওয়াও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ফলে সাদা পাউরুটি, পাস্তা, পেস্ট্রি খাবেন না।

৪) মিষ্টি খাবার যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল। আইসক্রিম, কেক, চকোলেট এড়িয়ে চলুন।

৫) যে খাবারে ফ্যাট বেশি, তা ভুলেও খাবেন না। স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ যদি শরীরে বাড়তে থাকে, তা হলে পিসিওডির রোগীদের জন্য তা বিপজ্জনক। মাখন, চকোলেটে ফ্যাট অনেক বেশি। তাই এ ধরনের খাবার যত কম খাবেন, সুস্থ থাকতে পারবেন।

৬) রেড মিট খেতে ভাল লাগলেও শরীরের কথা ভেবে দূরে থাকুন। রেড মিট একেবারেই সহজপাচ্য নয়। পিসিওডি থাকলে হজমের গোলমাল আরও বেড়ে যায়। তাই এমন কোনও খাবার খাওয়া উচিত, যা সহজে হজম করা যায়।

৭) নুন খাওয়ায় রাশ টানুন। পিসিওডির রোগীদের জন্য নুন অত্যন্ত ক্ষতিকর। কাঁচা নুন এড়িয়ে চলবেন তো বটেই, যতটা কম নুন ব্যবহার করে রান্না করা যায়, সে দিকেও নজর দিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

PCOS Weight Loss Tips
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE