ভাত-রুটি ছেড়ে এখন ওট্স খাওয়ারই পরামর্স দিচ্ছেন অনেক পুষ্টিবিদ। দ্রুত ওজন কমাতে ওট্সের জুড়ি মেলা ভার। কার্বোহাইড্রেট কম খেয়ে ওজন কমাতে চাইলে, ওট্সই সবচেয়ে ভাল বিকল্প। সকালের জলখাবারে লুচি-পরোটা ছেড়ে অনেক বাঙালিই ওট্স খাওয়া ধরেছেন। কখনও দুধ দিয়ে আবার কখনও খিচুড়ি বা পোলাও বানিয়ে ওট্স খাচ্ছেন অনেকেই। ওট্স দিয়ে নানা রকম রেসিপিও ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। কিন্তু কথা হল, ওট্স কি সকলের জন্যই স্বাস্থ্যকর? শরীরে কোন ৫ সমস্যা থাকলে ওট্স খাওয়া একেবারেই উচিত হবে না।
১) গ্লুটেন অ্যালার্জি বা সিলিয়াক রোগ
গ্লুটেনে অনেকেরই অ্যালার্জি থাকে। গ্লুটেনে এক ধরনের প্রোটিন যা বেশি খেলে অনেকের শরীরেরই অটোইমিউন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। খাদ্যনালির ক্ষুদ্রান্ত্রের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির (মিউকাস মেমব্রেন) ক্ষতি হয় ও তা খসে যেতে থাকে। এর জেরে পেট ভার, পেট ব্যথা এবং ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়। একে বলে সিলিয়াক রোগ। এই রোগে মুখে-জিভে ছোট আলসারও হতে পারে। এমন অসুখ থাকলে ওট্স খাওয়া ঠিক হবে না।
২) ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম
আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম থাকলে ওট্স খাওয়া ঠিক নয়। পেটের রোগে যাঁরা তিন বেলা ওট্স খাচ্ছেন, তাঁদের লাব কিছুই হবে না। উল্টে পেটের সমস্যা আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন:
৩) ডায়াবিটিস থাকলে
ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্যও ওট্স উপকারী, এই ধারণা ঠিক নয়। ওট্সের জটিল কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ডায়াবিটিস থাকলে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকে ওট্স না খাওয়াই ভাল।
৪) খনিজের ঘাটতি
কার্বোহাইড্রেট-প্রোটিন-ফ্যাট সব বাদ দিয়ে শুধু ওট্স খেতে শুরু করলে শরীরে খনিজ উপাদানগুলির ঘাটতি হবে। ওট্সে থাকে ফাইটিক অ্যাসিড যা ক্যালশিয়াম, আয়রন ও জিঙ্কের শোষণে বাধা দেয়। তাই বেশি পরিমাণে ওট্স খেলে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা
ওট্স মানেই হাই-ফাইবার ডায়েট। যাঁরা বেশি ফাইবার খেতে অভ্যস্ত নন, তাঁদের পেটের রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে তা আরও বেড়ে যাবে।