উত্তেজনায় স্নায়ু ছিঁড়ে যাওয়ার মতো সুপার ওভারে জসপ্রীত বুমরাহ যে বোলিং করল, তার কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। মাথা ঠাণ্ডা রেখে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে ও একাই হারিয়ে দিল গুজরাত লায়ন্সকে। এ বারের আইপিএলে এই ঘটনাটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ম্যাকালাম ও ফিঞ্চের মতো দুই হার্ড হিটারকে যে ভাবে নাকানি চোবানি খাওয়াল আমাদের ছেলেটা, তা অসাধারণ। নিখুঁত ইয়র্কার, নিখুঁত পরিকল্পনা ও সেই অনুযায়ী বোলিং। যার ফল, দুই দৈত্যসম ব্যাটসম্যান বলে ব্যাট ছোঁয়াতেই দিল না প্রায়। একটা ফ্রি হিট, একটা ওয়াইড সত্ত্বেও এক ওভারে রান তোলা হল না ম্যাকালামদের। এর পুরো কৃতিত্ব বুমরাহকেই দিতে হবে।
রশিদ, বদ্রী, তাহিররা শুরুতে দাপট দেখালেও পেসাররা কিন্তু ক্রমশ নজর কাড়তে শুরু করে দিয়েছে। যদিও সুনীল নারাইন ও কুলদীপ যাদব এখনও কেকেআরের সম্পদই। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের কাছে পেসাররাই ক্রমশ ত্রাস হয়ে উঠছে। মুম্বইয়ের পেসাররা যে ভাবে দিল্লির ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়েছিল, তার চেয়েও মারাত্মক ভাবে কলকাতা বেঙ্গালুরুর ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিল। দুটো ম্যাচেই পেসারদের আগ্রাসনই শেষ কথা বলেছে। স্পিন বিপক্ষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। কিন্তু পেসাররা ব্যাটসম্যানদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়ে খুন করে।
নেথান কুল্টার নাইলের বোলিং দেখাটা একটা অভিজ্ঞতা। সে দিন দিল্লিকে যে ভাবে শেষ করে দিয়েছিল, তা ছিল দেখার মতো। ক্রিস মরিস, উমেশ যাদব, মিচেল জনসন ও কাগিসো রাবাডা এরা সবাই দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে। আমাদের বাসিল থাম্পি আর সিদ্ধার্থ কলদের কথাও বলতেই হবে। ওরা যে জায়গা থেকে উঠে এসেছে, সেই জায়গা থেকে উঠে এসে এত ভাল পারফরম্যান্স দেখানো মোটেই সোজা নয়। আর শেষে আসি ভুবনেশ্বর কুমারের কথায়। ওর মতো সুইং বোলার এই আইপিএলে আর আছে বলে তো মনে হয় না।
এদের বেশিরভাগের হাতেই মারণ ইয়র্কার রয়েছে। ব্যাটসম্যানরা এদের বিরুদ্ধে নামলে শুরুর দিকে কুঁকড়ে যায়। বেশির ভাগ ক্যাপ্টেনই এদের আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়ে দিচ্ছে। যার ফলে এদের ধার আরও বাড়ছে। শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এই পেসাররা, সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy