বিজয়ী: যুবরাজদের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক উনাদকাটের। ছবি: এএফপি
শেষ ওভারে স্টিভ স্মিথ যখন তাঁর হাতে বল তুলে দিচ্ছেন, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দরকার ছিল ১৩ রান। আইপিএলের দশটা ম্যাচের মধ্যে আটটায় এ সব ক্ষেত্রে ব্যাটিং টিম ম্যাচ বার করে নিয়ে যায়।
কিন্তু প্রত্যাশিত ঘটনাটাই ঘটতে দিলেন না রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টের এক বাঁ হাতি পেসার। অপ্রত্যাশিত এক ওভারে। যে ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ বলে পড়ল তিন উইকেট। বাকি তিন বলে কোনও রানই হল না। শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক-সহ মেডেন। ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৫ উইকেট। সানরাইজার্স হারল ১২ রানে।
এক প্রাক্তন নাইটের বিধ্বংসী বোলিংয়ে শনিবার পুণেই শুধু জিতল না, চাপে পড়ে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্সও। তিনি— জয়দেব উনাদকাট। এ বারের আইপিএলে ৮ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে যিনি বলছেন, ‘‘আমি শুধু নিজের শক্তি অনুযায়ী বল করে যাচ্ছি। বাড়তি কিছু করার চেষ্টা করছি না।’’ উনাদকাটের সাফল্যের পিছনের আসল কারণ খুঁজতে গেলে ফিরে যেতে হবে অতীতে, যখন তিনি ছিলেন নাইট জার্সিতে।
আরও পড়ুন: টিকিট পেয়ে প্রীতি উপহার সন্দীপের
বছর ছ’য়েক আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলতেন এই পেসার। এবং, যেখানে তিনি কোচ হিসেবে পেয়েছিলেন ওয়াসিম আক্রম-কে। আক্রমের টিপস যে তাঁর কতটা উপকারে এসেছে, এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন উনাদকাট। ‘‘বল দু’দিকে সুইং করাতে হলে কী ভাবে কব্জির ব্যবহার করতে হয়, সেটা ওয়াসিম ভাই শিখিয়েছিলেন আমায়,’’ বলেছিলেন উনাদকাট।
উনাদকাটের পাশাপাশি ব্যাটে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (২১ বলে ৩১) এবং বেন স্টোকস (২৫ বলে ৩৯) পুণে-কে (১২ ম্যাচে ১৬) শনিবার দু’টো পয়েন্ট এনে দিয়ে লিগ টেবলে দু’নম্বরে তুলে আনল। কেকেআর (১১ ম্যাচে ১৪) নেমে গেল তিনে। প্লে-অফের দৌড়ে থাকলেও গৌতম গম্ভীররা প্রথম দু’টো টিমের মধ্যে থাকতে পারবেন কি না, তা নিয়ে কিন্তু ক্রমে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy