কীর্তিমান: বোলার নারাইন এখন ব্যাট হাতেও সেরা বিস্ময়। ছবি: পিটিআই
চিন্নাস্বামীর দর্শকরা এত দিন ক্যারিবিয়ান তাণ্ডব বলতে এক জনের ব্যাটিংই বুঝতেন। রবিবার সেই ক্রিস গেল স্রেফ দর্শক হয়েই থাকলেন। গেলের পাড়ায় এসে যে ব্যাটিংটা করে গেলেন সুনীল নারাইন, তাতে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে পড়েছে ক্রিকেট দুনিয়া।
১৫ বলে হাফসেঞ্চুরি। যুগ্মভাবে আইপিএলের দ্রুততম। এর আগে ২০১৪ সালে করেছিলেন ইউসুফ পাঠান। পাওয়ার প্লে-তে ওপেনিং জুটিতে ১০৫ রান। যেটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এর আগে কখনও কোথাও হয়নি। শেষ পর্যন্ত নারাইন থামলেন ১৭ বলে ৫৪ করে। ইনিংসে রয়েছে ছ’টা বাউন্ডারি, চারটে ওভারবাউন্ডারি।
ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে আসা নারাইনকে প্রশ্ন করা হয়, যে ভাবে ব্যাট করলেন, তাতে আপনি নিজেও কি অবাক? জবাব আসে, ‘‘হ্যাঁ, আমিও অবাক হয়ে গিয়েছি।’’ আরসিবি-র রান তাড়া করতে নামার সময় স্ট্র্যাটেজি কী ছিল? নারাইন বলেন, ‘‘ক্রিস লিন বলেছিল, বলটা ভাল করে দেখো, ফোকাস ঠিক রাখো তার পর চালাও। আমি তাই করেছি। ব্যাপারটা আদৌ জটিল করিনি।’’ কেকেআরের হিসেবও জটিল হয়নি। ছ’উইকেটে জিতে প্লে-অফ প্রায় নিশ্চিত করল নাইটরা।
আরও পড়ুন: করব, লড়ব, ওড়াব রে...
রবি শাস্ত্রী বলেছিলেন, এই কেকেআর টিম প্রথাগত ভাবনার বাইরে গিয়ে স্ট্র্যাটেজি কষে। রবিবার সেটাই দেখা গেল। টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার পরে গৌতম গম্ভীরের বোলাররা আরসিবি-র ‘বিগ থ্রি’— গেল (০), কোহালি (৫), এ বি ডিভিলিয়ার্স-কে (১০) ফিরিয়ে দেন মাত্র ৩৪ রানের মধ্যে। তবে পরে মনদীপ সিংহ (৪৩ বলে ৫২) এবং ট্র্যাভিস হেড (৪৭ বলে অপরাজিত ৭৫) স্কোর ১৫৮ রানে পৌঁছে দেওয়ায় মনে হচ্ছিল, চিন্নাস্বামীতে রান তাড়া করা সোজা হবে না। কিন্তু শুরুতেই যে চমকটা দিল কেকেআর, তার ধাক্কা সামলাতে পারল না আরসিবি। গম্ভীর নিজেকে পিছিয়ে এনে ওপেন করতে পাঠালেন লিন-নারাইন জুটিকে। কেন এ রকম ভাবনা? গম্ভীর বলে গেলেন, ‘‘লিন চোট পাওয়ার পরে প্রথম মাঠে নামছে। আমরা চেয়েছিলাম, নারাইন এক দিকে মারলে, লিন একটু সময় পাবে সেট হওয়ার। কিন্তু লিনও যে ভাবে মারল অবিশ্বাস্য। এই মুহুর্তে ক্রিকেট বিশ্বে ওর চেয়ে জোরে কেউ বল মারে না।’’ আর এই অবিশ্বাস্য পার্টনারশিপ নিয়ে কী বলবেন? কেকেআর অধিনায়কের জবাব, ‘‘আমার ক্রিকেট জীবনে এ রকম ধ্বংসাত্মক ওপেনিং পার্টনারশিপ কোনও দিন দেখিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy