খুদে তৈমুরের সঙ্গে সইফ-করিনা। মুম্বইয়ের বাড়িতে। পিটিআইয়ের তোলা ফাইল ছবি।
ছেলের নাম কেন তৈমুর? একঝাঁক প্রশ্নের তির বিঁধেছে সোশ্যাল দেওয়ালে।
গত বছরের ২০ ডিসেম্বর তৈমুরের জন্মের পর থেকেই সইফ-করিনার সদ্যোজাতের নাম নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। প্রায় সকলেরই মুখে একটাই প্রশ্ন, কোন আক্কেলে তুর্কি-মোঙ্গল শাসক কুখ্যাত তৈমুর লঙ্গের নামে ছেলের নামকরণ করলেন তাঁরা? এ নিয়ে নানা মুনির নানা মত। অনেকেই এর পিছনে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি খাড়া করার চেষ্টা করেছেন। করিনার কাকা ঋষি কপূর তা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেও মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন ছোট্ট তৈমুরের বাবা-মা। শেষমেশ নাম বিতর্কে মুখ খুললেন সইফ আলি খান।
আরও পড়ুন
এত কেন নামের খোঁটা, ‘তৈমুর’ নিয়ে ক্ষুব্ধ ঋষি
কী বলেছেন সইফ?
মুম্বইয়ের একটি সংবাদপত্রে এক সাক্ষাৎকারে সইফ জানিয়েছেন, অনেকেই এ নিয়ে পর্দার আড়ালে থেকে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁরা যা খুশি তাই বলে চলেছেন। অনেক সময় তো বেশ জঘন্য কথাবার্তাও শোনা গিয়েছে। তবে সইফের দাবি, ঘৃণা-ক্ষোভের মধ্যেও তৈমুরের জন্মের পর তাঁদের বার্তায় ভালবাসা পেয়েছেন। তা নিয়ে তৈমুরের মা-বাবার উপলব্ধি, “দেশটা কট্টরপন্থী আর ফ্যাসিবাদীদের দখলে চলে যাচ্ছে বলে আমরা অনেকেই ভয় পাচ্ছি। তবে তৈমুরের নাম নিয়ে অহেতুক নাটক বা বিতর্কে বিভিন্ন মতামত লক্ষ করলে দেখা যাবে আমার সিদ্ধান্ত একেবারেই সঠিক ছিল। এ নিয়ে আমার নিজের কিছু বলতেই হবে না। কারণ আমার স্থির বিশ্বাস, আমরা কট্টরপন্থী দেশে বাস করি না। ভারত এখনও উদারনৈতিক দেশ আর মানুষজন এখনও যথেষ্ট খোলামেলা।”
আরও পড়ুন
করিনা তাঁর ‘প্রথম সমস্যা’, আত্মজীবনীতে বিস্ফোরক কর্ণ জোহর
তৈমুর নাম নিয়ে সইফের দাবি, “মধ্যযুগীয় এই নাম নিয়ে অনেকেই আপত্তি জানিয়েছেন। তা সত্ত্বেও সে সিদ্ধান্ত যে একেবারেই ঠিক ছিল তা নিয়ে অনেকেই আমার সঙ্গে একমত।” ছেলের জন্য তৈমুর নামটাই পছন্দ হল কেন তাঁদের? সইফের সাফ জবাব, “করিনা আর আমার, দু’জনেরই তৈমুর নামের মানেটা বেশ পছন্দের। তুরস্কের শাসক তৈমুর লঙ্গের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানা রয়েছে। তবে আমার ছেলের নামটা পার্সিয়ান, যার মানে লোহা।” সেই সঙ্গে আরও বলেন, “মৃত বা জীবিত কোনও মানুষের সঙ্গে এর মিল খুঁজে পেলে তা এক অদ্ভুত সমাপতন মাত্র।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy