কথায় হোক বা কাজে ‘বোল্ড’ বিশেষণটা তাঁর নামের সঙ্গে ব্যবহার হয়েছে একাধিকবার। ফের তিনি রিস্ক নিলেন। ‘বোল্ড’ হলেন। তবে এ বার অন্যভাবে। তিনি স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। এই প্রথম গান রেকর্ড করলেন তিনি। বাবার সঙ্গে জুটি বেঁধে আজই রিলিজ করছে তাঁর রবীন্দ্রসঙ্গীতের অ্যালবাম। ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। সৌজন্যে ‘মেজর সেভেন’।
ভোরবেলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনাটা এককালে ছিল এই বাড়ির নিয়ম। মা তানপুরা, হারমোনিয়াম বাজাতেন পটু হাতে। বাবা এস্রাজে দক্ষ। কিন্তু মেয়ের গানে কোনও দিনই তেমন ঝোঁক ছিল না। বোন শিখত গান। কিন্তু এই মেয়ে বরাবর নাচকে আপন করেছে। হ্যাঁ, গান শুনতে যে ভাল লাগত না, তা নয়। তবে গান গাওয়ার কথা সে ভাবেনি কোনও দিনই। নাচের পাশাপাশি এক সময়ে এল অভিনয়ের ডাক। ক্রমে অভিনেত্রী হিসেবেই দর্শকদের কাছে পরিচিতি পেলেন তিনি। কিন্তু গান তো কোথাও প্রাণের আরাম। তাই অভিনয়ের দীর্ঘ কেরিয়ার পেরিয়ে নতুন পথে হাঁটলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, ‘আমি সিঙ্গল, বয়ফ্রেন্ড থাকলে অনেক ঝামেলা’
‘‘সুমনের থিয়েটারে খালি গলায় গান গেয়েছিলাম। সেটাই রেকর্ড করে সত্রাজিত্কে পাঠাই। ও মিউজিক অ্যারেঞ্জ করে সেই গানটা যখন ফের আমাকে দেয়, তখন মনে হয়েছিল রিস্কটা নেওয়া যায়। ওর কোম্পানি থেকেই অ্যালবামটা রিলিজ হচ্ছে’’ বললেন স্বস্তিকা। বাবাকে সঙ্গে নিয়ে অ্যালবামের ভাবনা কী ভাবে এল? নায়িকার কথায়, ‘‘আমার কাছে বাবার কাজের কোনও আর্কাইভ নেই। ছোট থেকেই বহু বার শুনেছি বাবার অ্যালবাম করার খুব ইচ্ছে ছিল। নানা কারণে হয়ে ওঠেনি। তাই বাবাকে নিয়েই কাজটা করব ঠিক করেছিলাম। কিন্তু বাবাকে রাজি করানোটা বেশ কঠিন ছিল।’’ কেন? হাসতে হাসতে স্বস্তিকা শেয়ার করলেন, ‘‘বাবা খালি বলত, কী দরকার এসবের? বয়স হয়েছে। গানের গলাটা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তারপর আমি রীতিমতো ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করে রাজি করিয়েছি।’’ এই কথার রেশ টেনেই সন্তু মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘‘মেয়ে জোর করাতেই এ সব হল। কী কী গান গাইব ওই ঠিক করে দিয়েছে।’’
আরও পড়ুন, ‘আমি যে এতটা সিডাকটিভ হতে পারি জানতাম না’
অ্যালবামে থাকছে মোট ছ’টি গান। স্বস্তিকার গলায় তিনটি। সন্তু গেয়েছেন দু’টি। একটি গানে যৌথ ভাবে গলা মিলিয়েছেন বাবা-মেয়ে। শুট করা হয়েছে একটি মিউজিক ভিডিও। স্বস্তিকা বললেন, ‘‘খুব পছন্দের গানগুলো গেয়েছি আমি। বাবা মূলত পূজা পর্যায়ের গান গেয়েছেন।’’
আজ নতুন ভাবে স্বস্তিকাকে চিনবেন দর্শক-শ্রোতারা। এমন আনন্দের দিনে বারবার মায়ের কথা মনে পড়ছে তাঁর। মিস করছেন মাকে। ‘‘সেই হল, শুধু মা আর রইল না দেখার জন্য। তবে ফাইনালি এটা করতে পারলাম বলে ভাল লাগছে…’’ মনকেমন শেয়ার করলেন স্বস্তিকা।
আরও পড়ুন, ব্যক্তিগত জীবনেও ‘অসমাপ্ত’ সম্পর্ক রয়েছে, রয়েছে খারাপ লাগাও
ছবি সৌজন্যে: সুজিত সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy