‘পিপলি লাইভ’-এর পরিচালক মাহমুদ ফারুকি। ছবি— সংগৃহীত।
‘পিপলি লাইভ’য়ের পরিচালক মাহমুদ ফারুকির বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহ মামলায়, দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার দেশের শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি এস এ বোবডে এবং বিচারপতি এলনাগেশ্বর রাও-এর ডিভিশন বেঞ্চে।
২০১৫ সালের ২৮ মার্চ। লেখক-পরিচালক মাহমুদ ফারুকির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন বছর ৩৫-এর এক মহিলা। একটি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্কলার ওই অভিযোগকারিণীর সঙ্গে ২০১৫-র বহুদিন আগে থেকেই পরিচিতি ছিল ফারুকির। অভিযোগকারিণীর দাবি ছিল, দিল্লিতে নিজের বাড়িতে তাঁকে যৌন নিগ্রহ করেন ফারুকি।
২০১৬-য় মামলা শুরু হওয়ার পর দিল্লির একটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত মাহমুদ ফারুকিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। সাত বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশও দিয়েছিল আদালত। এর পরই দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেন ফারুকি। গত বছর দিল্লি হাইকোর্ট ফারুকিকে বেকসুর খালাসের নির্দেশের পরই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন অভিযোগকারিণী।
বলিউড-টলিউড-টেলিউডের হিট খবর জানতে চান? সাপ্তাহিক বিনোদন সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের নির্দেশের প্রশংসা করে শীর্ষ আদালত জানায়, ‘‘আমরা দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের সঙ্গে সহমত। এ বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’’
আরও পড়ুন, যৌন হেনস্থার অভিযোগ, জবাব দিলেন আজিজ আনসারি
আরও পড়ুন, ‘নায়িকাদের ব্যক্তিগত জীবনে এত আগ্রহ কেন?’
শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘অভিযোগকারিণী ও অভিযুক্ত দু’জনেই আগে থেকে পরিচিত। তাঁদের বাড়িতে একে অপরের যাতায়াতও ছিল। তাঁরা আগে থেকে একটি সম্পর্কে ছিলেন। তাই এটা বিচার করা কঠিন যে, বিনা সম্মতিতে কোনও কিছু ঘটেছিল কিনা।”
অর্থাত্, যৌন নিগ্রহ হয়নি বলে মনে করে দেশের শীর্ষ আদালত। দিল্লি হাইকোর্টের পর, সুপ্রিম কোর্টও পরিচালকের পাশেই দাঁড়িয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy