সম্পর্কটা তাঁদের ভেঙে গিয়েছে অনেক দিন আগেই! তার পর নবাব-বাড়ির বেগম হয়েছেন করিনা কপূর, নামের পরে বসেছে খান পদবী। শহিদ কপূরও সদ্য সেরে ফেলেছেন বিয়ে! কিন্তু, এত কিছুর পরেও করিনাকে নিয়ে ভয় কাটছে না শহিদের!
করিনাকে ইদানীং যতটা পারছেন এড়িয়ে চলছেন শহিদ। আমরা নই, এ কথা বলছে তাঁদের হাবভাব! দিওয়ালির আলোকোজ্জ্বল মুহূর্তে সব ভুলে গিয়ে যখন পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সবাই, তখনও করিনাকে দূরেই রাখলেন শহিদ! পাছে করিনার মুখোমুখি হতে হয়, সেই ভয়ে স্ত্রী মীরাকে নিয়ে শিল্পা শেঠির বাড়িতে অন্য দরজা দিয়ে ঢুকলেন তিনি!
শিল্পা শেঠির বাড়ির দিওয়ালিতে এ বার আমন্ত্রণ ছিল শহিদ-মীরার! তেমনই, শিল্পাকে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হয়েছিলেন সইফ আর করিনাও। শিল্পার বাড়িতে পৌঁছেই যখন শহিদ জানতে পারলেন করিনা এসেছেন এবং চলেও যাচ্ছেন, তখনই স্ত্রীর সঙ্গে পিছনের দরজায় চলে গেলেন তিনি! যাতে বেরোবার মুখে দেখা না হয়ে যায়!
তা, করিনাকে এতটা ভয় পাওয়ার কী আছে?
আসলে, বিয়ের খবরটা পেতেই করিনা রীতিমতো একটা চাপ ফেলেছিলেন শহিদের ঘাড়ে! শহিদ যে প্রথমে তাঁকে নেমন্তন্ন করেননি, মিডিয়াকে খোলাখুলি জানিয়ে দিয়েছিলেন সেই কথা! তার পর মুচকি হেসে বলেছিলেন, “নেমন্তন্ন করলে আমি কি আর যেতাম না! সব ভুলে নিশ্চয়ই শুভেচ্ছা জানিয়ে আসতাম নব-দম্পতিকে!”
কথাটা কানে যাওয়ার পর নড়ে-চড়ে বসতে বাধ্য হন হায়দার! ভাবতে থাকেন, কী করা উচিত! নেমন্তন্ন করবেন প্রাক্তন প্রেমিকাকে, না কি করবেন না? শেষ পর্যন্ত আভিজাত্য বজায় রেখে একেবারে শেষ মুহূর্তে হলেও একটা কার্ড পাঠিয়ে দেন ঠিকই! করিনা আসেননি, তবে উপহার পাঠিয়ে দিতেও ভোলেননি!
তার পর থেকেই করিনাকে নিয়ে শহিদের ভয় কাটছে না! এক বার যখন মিডিয়াকে বেফাঁস কথা বলেছেন বেগম, তখন মীরার সামনেও কিছু বলতেই পারেন! বিশ্বাস কী!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy