মাত্র ১৬ বছর বয়স থেকে সুরাসক্তি ছিল তাঁর। সে কারণ কেরিয়ারের ক্ষতি হয়েছে। ভেঙেছে বহু সম্পর্ক। অনেক সম্ভবনা থাকা সত্ত্বেও একটা সময় লাইমলাইট থেকে প্রায় হারিয়েই যান তিনি। তিনি পূজা ভট্ট। কিন্তু গত ৬৮ দিন অ্যালকোহল ছুঁয়েও দেখেননি। ধীরে ধীরে আসক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু কী ভাবে? সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে শেয়ার করলেন খোদ পূজা।
পূজার কথায়, ‘‘প্রথমেই সুরাসক্তি নিয়ে আমাদের সমাজের চিন্তাভাবনার বিরুদ্ধে কথা বলব। মেয়েরা অ্যালকোহল খেলে সেটা যেন তাঁর পরিবারেরও লজ্জার কারণ। ফলে যে মেয়েরা সুরাসক্ত তাঁরা আরও একা হয়ে পড়েন। নিজেদের যন্ত্রণার কথা কারও সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন না। কিন্তু আমি নেশা ছাড়তে পেরেছি।’’
আরও পড়ুন, ফ্যাশান পুলিশদের বিশেষ পাত্তা না দেওয়ার পরামর্শ আলিয়ার
পূজা আরও জানিয়েছেন, একজন অ্যালকোহলিকের মেয়ে হওয়ার কারণে নেশা করার অভ্যাস তাঁর অনেক সহজে হয়েছিল। বাবা মহেশ ভট্ট তুমুল নেশা করতেন। ফলে ছোট থেকেই ওই পরিবেশে বড় হওয়া পূজার কাছে নেশা করাটা খারাপ মনে হয়নি কখনও। যদিও বছর খানেক আগেই সুরা থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ সরিয়ে নিয়েছেন মহেশ।
বাবার সঙ্গে পূজা।
পূজার দাবি, অ্যালকোহল তাঁকে ব্যর্থতা ভুলিয়ে দিত। তাঁর সন্ধ্যেগুলো রঙিন করে রাখত। আবার ফিল্মের সাফল্যেও অ্যালকোহলই হত পূজার সঙ্গী। কিন্তু বাবার একটা টেক্সট মেসেজ পূজাকে ভাবিয়েছিল। মহেশ লিখেছিলেন, ‘‘যদি তুমি আমাকে ভালবাসো, তা হলে নিজেকেও ভালাবাসা উচিত। কারণ তুমি আদতে মহেশেরই সত্ত্বা বয়ে নিয়ে চলেছে।’’ ওই এসএমএস পাওয়ার পরই বদলে যান পূজা। ঠিক করেন, অনেক হয়েছে। আর নয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমি এখন ৪৫। অ্যালকোহল বাদ দিতে অন্তত ১০ বছর ভাল করে বাঁচতেই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy