কয়েক মাস আগের ঘটনা— রাজ্যসভায় ‘জয়া অমিতাভ বচ্চন’ বলে সম্বোধন করায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন প্রবীণ অভিনেত্রী ও সাংসদ জয়া। বিস্তর বিতর্কও হয়েছিল তা নিয়ে। ফের এক বাঙালি অভিনেত্রী উগরে দিলেন ক্ষোভ। তিনি পত্রলেখা পাল। অভিনয় গুণেই নিজের জায়গা তৈরি করেছেন, কিন্তু সেই পরিচয় ছাপিয়ে গত কয়েক বছরে তিনি হয়ে উঠেছেন ‘রাজকুমার রাওয়ের স্ত্রী’।
শুধুমাত্র রাজকুমার রাওয়ের স্ত্রীয়ের তকমায় বাঁচতে নারাজ অভিনেত্রী। ‘সিটি লাইটস্’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে হাতেখড়ি তাঁর। ঝুলিতে তেমন কোনও হিট ছবি না থাকলেও অভিনেত্রী হিসাবে সমালোচকদের বেশ প্রিয় পাত্রী তিনি। এই কয়েক বছরে খুব বেশি ছবিতে দেখা যায়নি তাঁকে। তাই প্রায় সর্বত্র তাঁকে রাজকুমারের স্ত্রী হিসাবেই পরিচয় দেওয়া হয়। তাতেই বেজায় চটেছেন তিনি। স্বামীর সাফল্যে যে তিনি খুশি নন, তেমনটা নয়। কিন্তু তা বলে নিজের সত্তাকে হারাতেও নারাজ পত্রলেখা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী।
পত্রলেখা বলেন, “অনেকেই রাজকুমারের কাছে পৌঁছনোর জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমি বিরক্ত হয়ে গিয়েছি। শুধুমাত্র রাজকুমারের স্ত্রী— এটাই আমার পরিচয় নয়। আমি একজন আলাদা মানুষ। আমারও একটা অস্তিত্ব আছে।” অভিনেতাকে বিয়ের পরে অনেক ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীনও হতে হয়েছে পত্রলেখাকে। ভাল কাজও নাকি পাচ্ছেন না। অভিনেত্রী বলেন, “বুঝতে পারি কেউ কেউ চিত্রনাট্য শোনাতে এসেছেন আমায় সেই ছবিতে নেবেন বলে নয়। রাজকুমারকে নিতে চান বলে আমায় চিত্রনাট্য শোনাচ্ছেন। কিন্তু আমি তো একটা আলাদা মানুষ। যদি আমার স্বামীকে নিতে চান তা হলে তাঁর সঙ্গে আলাদা ভাবে যোগাযোগ করুন।”
এক জন তারকার স্ত্রী বা প্রেমিকা হওয়া যে কতটা কঠিন সে কথাই ভাগ করে নিয়েছেন পত্রলেখা। এই পরিস্থিতে নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর পক্ষে।