শত্রুঘ্ন সিন্হা ও পুত্র লভ সিন্হা। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের সে কালের অন্যতম খ্যতনামা ও জনপ্রিয় তারকা শত্রুঘ্ন সিন্হা। অমিতাভ বচ্চন, দেব আনন্দ, রাজেশ খন্নার মতো নিজের স্বতন্ত্র এক ভক্তকূল বানিয়েছিলেন শত্রুঘ্ন। তাঁর মুখে ‘খামোশ’ শুনেই মুগ্ধ হয়ে যেতেন অনুরাগীরা। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন তাঁর সন্তানেরাও। সোনাক্ষী সিন্হা তো বলিউডের পা রেখেছেন আগেই, এ বার বিনোদনের জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী সোনাক্ষীর ভাই লভ সিন্হাও। তারকা সন্তান তিনি, স্বাভাবিক ভাবেই সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার দিক থেকে কিছুটা এগিয়েই থাকবেন লভ। তবে বলিউডে সুযোগ পাওয়ার জন্য তাঁকে অমানুষিক পরিশ্রম করতে না হলেও বাবার লড়াইকে কখনও ভোলেন না লভ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাবার সেই লড়াইয়েরই স্মৃতিচারণ করলেন তিনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে লভ জানান, প্রতিষ্ঠা পাওয়ার আগে এক সময় প্রবল অর্থকষ্টে ভুগেছেন শত্রুঘ্ন। লভের কথায়, ‘‘বাবাকে অনেক লড়াই করতে হয়েছে। এমন সময়ও গিয়েছে যখন বাবাকে সিদ্ধান্ত নিতে হত যে তিনি খাবারের জন্য টাকা বাঁচাবেন, না বাসের ভাড়া দিয়ে কোনও একটা মিটিংয়ে যাবেন। মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য বাসের ভাড়া বাঁচাতে তিনি অনেক সময় এক বেলা খাবার পর্যন্ত খেতেন না। অনেক সময় আবার খাবার খেয়ে নিলে বাসের ভাড়া থাকত না, তখন মাইলের পর মাইল তিনি হেঁটে যেতেন।’’
লভের মতে, দিদি সোনাক্ষীকে বলিউডে নিজের জায়গা তৈরি করার জন্য তেমন পরিশ্রম করতে হয়নি। লভ আরও বলেন, ‘‘পটনা ছেড়ে মুম্বইয়ে এসে বাবাকে দিনরাত পরিশ্রম করতে হয়েছে অভিনেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। এমন দিনও গিয়েছে, যখন দিনের শেষে বাবা নিজের সিদ্ধান্তকে নিজেই প্রশ্ন করেছেন।’’
বাবার অভিনয়জীবনের চড়াই-উতরাইয়ের সবটাই প্রত্যক্ষ করেছেন লভ। তাঁর কথায়, ‘‘যখন বাবা কেরিয়ারের শীর্ষে ছিলেন, তখন দেখেছি আমাদের বাড়ি লোকে লোকারণ্য হয়ে থাকত। আবার যখন ছবি ফ্লপ হয়েছে, তখন বাড়ি পুরো ফাঁকা।’’ বাবার পথচলা থেকে শিক্ষা নিয়েছেন লভ। তিনি জানান, বাবা কখনও কোনও পরিচালক বা প্রযোজকের কাছে তাঁর হয়ে সুপারিশও করেননি। নিজের মেধার ভিত্তিতেই বলিউডে প্রতিষ্ঠা পেতে চান লভ। আসন্ন ‘গদর ২’ ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যেতে চলেছে শত্রুঘ্ন-পুত্রকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy