নিজের শর্তে বাঁচাটাই ঋ-র জীবনের মন্ত্র। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
জয়জিত্ এই ট্রফিটা ডিজার্ভ করেন?
একেবারেই নয়। ও তো ভোট কিনেছে বলে শুনেছি। জয়জিত্ও বার বার বলেছে আমার ভোটব্যাঙ্ক আছে। কীসের ভিত্তিতে ও বলত, বলুন?
তাই নাকি?
হুম। তবে এটা আমার শোনা কথা। কেউ যদি আমাকে দেখাতে বলে কী ভাবে ভোট কেনা হয় দেখাও, আমি পারব না। কিন্তু এই কথাগুলোর এখন আর কোনও মানে নেই।
কেন?
ম্যাচ ইজ ওভার। সো মুভ অন। জয়জিত্ উইনার। ট্রফি, টাকা সব এখন ওর কাছে। সেটা যে ভাবেই হোক। আমার পার্সোনালি ভাল লাগছে না। কিন্তু, তার জন্য সারা ক্ষণ কাউকে অ্যাবিউজ করাটাও ঠিক নয়। ফাইনালে শিলাজিত্ বেরিয়ে যাওয়ার পরই আমার মনে হয়েছিল কিছু একটা হতে চলেছে।
কেন জয়জিত্ ডিজার্ভ করেন না বলে মনে হয়?
দেখুন ও সারা দিন ঘুমাতো। একটা লেজি ক্যারেক্টার। তবে এটাই হয়তো দর্শকের ভাল লেগেছে। অনেকটা কমিক রিলিফের মতো। এটাই হয়তো বিগ বসের গেম!
কে জিতলে আপনি খুশি হতেন?
আমি চেয়েছিলাম কোনও মেয়ে জিতুক। ছেলেগুলো কেমন যেন ল্যাদস ছিল। এটা ঠিক যে, ওরা ভাল খেলেছে। একটা স্ট্রং লবি মেনটেন করেছে। ফলে মেন্টালি ওদের কম হ্যারাস হতে হয়েছে। আর আমরা মেয়েরা ইনডিভিজুয়ালি ভাল খেলেছি। আমার কাছে সারভাইভ করাটাই আসল গেম ছিল। শেষ দিন অবধি ছিলাম। ব্যস। আমার হিসেবে আমি উইনার।
বেরিয়ে এসে আপনার ১০ বছরের বন্ধু কমলিকার সঙ্গে কথা হয়েছে?
না। কথা হয়নি। হবেও না। আর ওই ১০ বছরটা ওর হিসেব। আমি কোনও হিসেব করিনি।
আপনাদের বন্ধুত্ব ভেঙে গেল বলছেন?
দেখুন, সব কিছুরই একটা এক্সপায়ারি ডেট থাকে। বিগ বসে আমি বন্ধুত্ব ভাঙিয়ে খেলতে যাইনি। কম্পিটিশন করতে গিয়েছিলাম। আমার ওর ওপর বিশ্বাস ভেঙে গিয়েছে। ওর তো আরও ম্যাচিওরড হওয়া উচিত ছিল। তবে কী বলুন তো, ও যা করেছে ঠিকই করেছে। আমারই নিজেকে চেঞ্জ করা দরকার।
আর শিলাজিত্-এর সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকবে?
শিলাজিত্ কোনও দিনই সেই অর্থে আমার বন্ধু ছিল না। ও আমার এক্স বয়ফ্রেন্ড কিউয়ের পরিচিত ছিল। সেই সূত্রে আমারও পরিচিত। ওর গান ভাল লাগে। আর্টিস্টিক সত্ত্বা ভাল লাগে। তবে ওখানে গিয়ে ওর কোনও আর্টিস্টিক সত্ত্বা আমি দেখিনি। আমি জানতাম ওর সঙ্গে আমার বনবে না। আর সেটাই হয়েছে।
ছবির শুটিংয়ে ঋ। ছবি: ইউটিউব সৌজন্যে।
বিগ বসের বাড়ির সবচেয়ে ক্ষতিকারক সদস্য কে ছিলেন?
ক্ষতিকারক কিনা জানি না। তবে কমলিকা আর জয়ী খুব অসভ্য।
এমন কোনও মুহূর্ত ছিল, যখন মনে হয়েছিল আর থাকা সম্ভব নয়?
একটা গেমে জয়ী গায়ে পেচ্ছাপ, হেয়ার রিমুভার ক্রিম দিয়েছিল। আর সারা ক্ষণ মুখের সামনে এসে নোংরা কথা বলত। তখন মনে হয়েছিল আর বোধহয় থাকা যাবে না।
বিগ বসের বাড়িতে সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত?
অনেক আছে। তবে প্রথম ক্যাপ্টেন হওয়ার মুহূর্তটা ভুলব না। ওটা আমার কাছে গ্রেট অ্যাচিভমেন্ট।
বিগ বসে কেন গিয়েছিলেন? শুধুই টাকার জন্য?
টাকা তো ম্যাটার করেই। আসলে আমাকে প্রথম সিজনেও অফার করা হয়েছিল। তখন যাইনি। মনে হয়েছিল সারাদিন ধরে ক্যামেরাবন্দি হয়ে থাকতে পারব না। আর এ বার সেই ভয়টাই কাটাতে চেয়েছিলাম। মনে হয়েছিল, এটা আমার কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
গেম শো-টা থেকে কী নিয়ে ফিরলেন?
পজিটিভিটি। বিশ্বাস করুন এত ধৈর্য্য এর আগে আমি কোথাও দেখাইনি, মানসিক ভাবে অনেক স্ট্রং হয়ে ফিরেছি। এখন আর কোনও ভয় নেই আমার।
বিগ বসে কারও জন্য মন খারাপ হত?
মার জন্য। মাকে আগে কখনও এ ভাবে মিস করিনি।
আর কিউ (এক্স বয়ফ্রেন্ড)? ওর কথাও তো অন ক্যামেরা বলেছেন।
হ্যাঁ বলেছি। কারণ আমি এখনও ইমোশনাল। আমি এখনও ওকে ভালবাসি।
তা হলে কিউয়ের কাছে ফিরবেন আবার?
কোনও চান্সই নেই। আমি অনেকটা ডিটাচড হয়ে গিয়েছি এখন। আর বিগ বসে গিয়ে তো জীবনটা নতুন ভাবে চিনেছি। এমন ভাবে আগে দেখতাম না।
আরও পড়ুন, ‘স্যান্ডির চুমুটা দেখালো, ঋ-দির আদরটা বাদ!’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy