‘সর্দারজি ৩’ নিয়ে মহাবিপাকে দিলজিৎ দোসাঞ্জ। ছবিতে দিলজিতের বিপরীতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির। এই পাক নায়িকাকে নিয়েই এখন বিতর্ক। এ বার দিলজিৎকে সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করার দাবির আবেদন গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে।
ছবির শুটিং হয়ে গিয়েছিল পহেলগাঁও কাণ্ডের আগেই। তাই নায়িকা বদল হয়নি। পাকিস্তানি নায়িকাকে নিয়েই ছবির কাজ শেষ হয়েছে। বিতর্কের জেরে দেশে ছবি মুক্তি পাচ্ছে না ‘সর্দারজি ৩’। শুধু আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মুক্তি পাচ্ছে। কিন্তু তাতেও বিপদ কাটেনি দিলজিৎ এবং ছবির অন্য কলাকুশলীদের।
ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ় (এফডব্লিউআইসিই) গত কয়েক দিন ধরেই দিলজিতের কড়া নিন্দা করছে। এ বার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তারা এই মর্মে চিঠি পাঠিয়েছে। এই সংগঠনের দাবি, অবিলম্বে দিলজিৎ ও ছবির অন্য কলাকুশলীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে। পাশাপাশি, পাক অভিনেত্রী হানিয়াকে এই ছবিতে নেওয়াটা ভারতের সংহতি, সম্মানের বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছাকৃত’ অপমান বলেও অভিযোগ তাদের।
সেই আবেদনপত্রে এফডব্লিউআইসিই-র পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, “দিলজিৎ দোসাঞ্জ, গুণবীর সিংহ সিধু, মনমোরদ সিধু, অমল হান্ডালের মতো ব্যক্তিরা ভারতের নাগরিক হওয়ার সুবিধা নিচ্ছেন। তাঁরাই আবার পাকিস্তানি নায়িকা হানিয়া আমিরকে ছবিতে নিয়ে ক্ষমার অযোগ্য একটি কাজ করেছেন। সৃজনশীলতার নামে এই কাজ মেনে নেওয়া যাবে না। এটা ইচ্ছাকৃত অপমান।”
হানিয়া একাধিক বার ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন এফডব্লিউআইসিই-র সদস্যেরা। তাঁদের কথায়, “আমাদের দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়ে মশকরা করেছেন হানিয়া আমির। ভারতের বিরুদ্ধে বিষ ছড়িয়েছেন। জঙ্গিদের গৌরবান্বিত করেছেন। তাঁকে ভারতের ছবিতে নেওয়া মোটেই সংবেদশনশীল সিদ্ধান্ত নয়।”
হানিয়াকে ছবিতে নেওয়ার অভিযোগে দিলজিৎ-সহ ছবির পরিচালক ও প্রযোজকের পাসপোর্ট বাতিল করার দাবিও করেছেন তাঁরা। ভারতীয় নাগরিক হিসেবে তাঁরা যাতে কোনও সুবিধা না পান, প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই আর্জিও রেখেছে এফডব্লিউআইসিই।