Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪
Entertainment News

শ্রীদেবীর শেষ সময় নিয়ে বন্ধুর কাছে মুখ খুললেন বনি

নাহাটা লিখেছেন, সে দিন ফোনে বনিও শ্রীকে বলেন, ‘‘আমিও তোমাকে মিস করছি।’’ কিন্তু ওই দিন বিকেলে দুবাই গিয়ে তিনি যে চমক দিতে চলেছেন, তা আগে থেকে জানাননি। আসলে বনিকে দুবাই যেতে জোর করেন জাহ্নবী।

তখন সুখের সময়। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।

তখন সুখের সময়। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৮ ২০:২৫
Share: Save:

‘‘পাপা, আমি তোমায় মিস করছি।’’ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ফোনে স্বামী বনি কপূরকে নাকি ঠিক এটাই বলেছিলেন প্রয়াত শ্রীদেবী। বনিকে তিনি ‘পাপা’ বলেই ডাকতেন। শ্রীদেবীর সঙ্গে তাঁর শেষ মুহূর্তগুলোর কথা বনি কপূরের মুখ থেকেই এ বার প্রকাশ্যে এল। অন্তত তেমনটাই দাবি তাঁর বন্ধু, বক্স অফিস বিশেষজ্ঞ কমল নাহাটা-র। বনির সঙ্গে তাঁর কথোপকথন নাহাটা লিখেছেন তাঁর ব্লগে। আর সেখানেই উঠে এসেছে এ হেন তথ্য।

নাহাটা লিখেছেন, সে দিন ফোনে বনিও শ্রীকে বলেন, ‘‘আমিও তোমাকে মিস করছি।’’ কিন্তু ওই দিন বিকেলে দুবাই গিয়ে তিনি যে চমক দিতে চলেছেন, তা আগে থেকে জানাননি। আসলে বনিকে দুবাই যেতে জোর করেন জাহ্নবী। কারণ মেয়ের মনে হয়েছিল, মা কখনও একা থাকে না। হয়তো পাসপোর্ট বা অন্য কোনও জরুরি জিনিস হারিয়ে ফেলতে পারে। তাই বনিকে নাকি দুবাই যেতে বলেন জাহ্নবীই। বনির কথায়, ‘‘বিদেশের মাটিতে দুবাইতেই শ্রীদেবী প্রথম একা ছিল। ২২ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি…।’’

নাহাটার ব্লগ বলছে, “২৪ ফেব্রুয়ারি মুম্বই বিমানবন্দরে বসেও বনি শ্রীকে বলেন তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত। আগামী কয়েক ঘণ্টা মিটিং চলবে। ফলে ফোন বন্ধও থাকতে পারে। বনি সে দিন দুবাইয়ের হোটেলে পৌঁছন স্থানীয় সময় সন্ধে ছ’টা কুড়ি নাগাদ। হোটেলের রিসেপশন থেকে চেয়ে নেন শ্রীদেবীর ঘরের ডুপ্লিকেট চাবি। বনিকে দেখে শ্রী জড়িয়ে ধরে বলেন, তাঁর মন বলছিল বনি আসবে।...

আরও পড়ুন ‘‘আমরা মাকে হারালাম ‘জান’ হারাল বাবা’’

আরও পড়ুন ‘‘আমরা মাকে হারালাম ‘জান’ হারাল বাবা’’ ❤️❤️😘😘

❤️❤️😘😘

আরও পড়ুন ‘‘আমরা মাকে হারালাম ‘জান’ হারাল বাবা’’ ❤️❤️😘😘

“দু’জনে প্রায় আধ ঘণ্টা গল্প করেন। বনি প্রস্তাব দেন, একসঙ্গে নৈশভোজে বেরোবেন। স্নানে যান শ্রী। বনি লিভিং রুমে টিভিতে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট ম্যাচ দেখছিলেন।

“প্রায় ১৫-২০ মিনিট পর অধৈর্য হয়ে ওঠেন বনি। শনিবারের রাত, রেস্তোরাঁয় ভিড় হতে পারে বলে মনে হয় তাঁর। তখন তিনি শ্রীদেবীকে ডাকতে শুরু করেন। ‘জান, জান…’। এ নামেই আদরের শ্রীকে ডাকতেন তিনি। সাড়া নেই। টিভির আওয়াজ কমিয়ে আবার ডাক। সাড়া নেই। এ বার স্নানঘরের দরজায় টোকা দিয়ে ‘জান জান’ বলে ডাকেন। দরজা ছিটকিনি দেওয়া ছিল না। বনি ঢুকে দেখেন, বাথটবের জলে ডুবে রয়েছেন শ্রী। মাথা থেকে পা পর্যন্ত পুরোটাই জলের তলায়।”

আরও পড়ুন, 'খাঁচায় বন্দি এক পাখি শ্রীদেবী'

নাহাটার ব্লগ অনুযায়ী, “এই পরিস্থিতি দেখে দিশেহারা হয়ে যান বনি।... উনি ডুবে যাওয়ার পর অচৈতন্য হন, নাকি প্রথমে ঘুমিয়ে পড়েন বা অচৈতন্য হয়ে পড়েন এবং তার পর ডুবে যান, সেটা বোধহয় কেউ কোনও দিনও জানতে পারবেন না। কিন্তু সম্ভবত এক মিনিটের জন্যও লড়াই করার কোনও সুযোগই তিনি পাননি কারণ ডুবে যাওয়ার সময় আতঙ্কে যদি হাত-পা ছুড়তেন, তা হলে বাথটাবের বাইরে কিছু জল উপচে পড়তই। কিন্তু টাবের আশপাশে মেঝেতে এক ফোঁটা জলও ছিল না।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy