এমিলা শব্দের মানে কী?
এমিলা মানে খুব দামি কোনও জিনিস।
বাহ্! আপনার নাম কে রেখেছিলেন?
আমার বাবা। আসলে সুভাষচন্দ্র বসুর স্ত্রীয়ের নাম ছিল এমিলিয়ে। সেটা একটু চেঞ্জ করে বাবা এমিলা করে দিয়েছিল।
‘রাধা’য় সুযোগ এসেছিল কী ভাবে?
আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে যোগাযোগটা হয়েছিল। ওরা হেলদি মেয়ে চাইছিল। আমি অডিশন দিয়েছিলাম। তারপর ‘রাধা’র জন্য আমাকে পছন্দ হয়। তখন আমি অতটাও মোটা ছিলাম না। ‘রাধা’ আরও মোটা। সে কারণে আরও খেয়ে মোটা হয়েছিলাম। তারপর ফাইনাল সিলেকশন হয়।
সেকি! আপনি তা হলে চরিত্রের প্রয়োজনেই ওজন বাড়িয়েছিলেন?
একদম তাই। আমি হেলদি ছিলাম। তবে আরও ওয়েট বাড়াতে হয়েছিল। আমি তো জিমও ছেড়ে দিয়েছিলাম।
কেন?
আসলে অভিনয় করতে চেয়েছিলাম। তাই জিম করে ওজন কমাতে শুরু করেছিলাম। তখনই ‘রাধা’র অফার পাই। তারপর জিম ছেড়ে খাওয়া দাওয়া শুরু করে আরও মোটা হলাম।
আরও পড়ুন, ‘টলিউড বড় অদ্ভুত, কেউ কারও ভাল চায় না’
কাজটা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?
চ্যালেঞ্জিং তো বটেই। আমাকে মোটা হতে হয়েছে। মানুষ রোগা হতে চায়, সেখানে আমি মোটা হয়ে নিজেকে ‘রাধা’ বানিয়েছি।
এখন কিন্তু র্যাম্পে প্লাস সাইজ মডেলরা জমিয়ে পারফর্ম করছেন। বিষয়টা আপনার কেমন লাগে?
খুব ভাল এটা। প্লাস সাইজ মডেলদের আমার দারুণ লাগে।
আপনার কাছে এ ধরনের অফার এসেছে?
না! এখনও নয়। তবে অফার এলে করতে কোনও আপত্তি নেই।
আরও পড়ুন, ‘বিলুর জার্নি সকলের সঙ্গেই মিলবে’
ইন্ডাস্ট্রিতে বন্ধুত্ব হয়েছে কারও সঙ্গে?
‘জারা’। মানে রূপসা। এই সিরিয়ালে যে আমার সবচেয়ে শত্রু, তার সঙ্গেই আমার সবচেয়ে ভাল বন্ডিং। ওর সঙ্গেই আমার সারা দিন কেটে যায়। ওর থেকে অনেক রকম পরামর্শও পাই।
প্রিয় বন্ধু রূপসার সঙ্গে এমিলা। ছবি সৌজন্যে: এমিলা।
কখনও বডি শেমিং ফেস করতে হয়েছে আপনাকে?
না। ইন্ডাস্ট্রিতে এক বছর হল এসেছি। এখনও পর্যন্ত এমন কোনও অভিজ্ঞতা হয়নি আমার।
এই সিরিয়ালে মূলত শাড়িতেই আপনাকে দেখছেন দর্শক। অন্য পোশাকেও আপনি ক্যামেরার সামনে স্বচ্ছন্দ?
যদি আমাকে মানায় তা হলে যে কোনও ধরনের পোশাক পরতে কোনও সমস্যা নেই।
আর সাহসী দৃশ্যে অভিনয় নিয়ে কোনও সমস্যা রয়েছে?
আসলে এমন কোনও মুহূর্ত এলে তখন বুঝতে পারব, কতটা সাহসী। কিন্তু অভিনয় তো। আমি করে দিতে পারব। আমার কাজ তো দর্শককে এন্টারটেন করা। সেটার জন্য তো আমি করতেই পারি।
আরও পড়ুন, বাঙালির জিয়া নস্ট্যাল, দেখা হবে ‘চিলেকোঠা’য়
আপনার অভিনয় নিয়ে বাড়ির সাপোর্ট কতটা রয়েছে?
আসলে বাবার এটা স্বপ্ন ছিল। যে দিন প্রথম টিভিতে ‘রাধা’র প্রোমো দেখিয়েছিল, বাবা কেঁদে ফেলেছিল। প্রথম দিকে একদম অভিনয় করতে পারতাম না। আস্তে আস্তে নিজেকে ইমপ্রুভ করেছি। বাবাকে দেখলেই পাড়ায় এখন সকলে ডেকে কথা বলেন। আগে যাঁরা চিনতে পারতেন না, তাঁরাও এখন ডেকে কথা বলেন।
সিরিয়ালে ‘রাধা’ বরকে খুব ভালবাসে। বাস্তবে ‘রাধা’র ভালবাসার মানুষ কে?
সত্যি বলতে, আমি প্রেম করতাম। ভালবাসার মানুষ ছিল একজন। কিন্তু ছ’সাত মাস হল ব্রেক আপ হয়ে গিয়েছে। তাই নামটা আর নাই বা বললাম…।
মনখারাপ হয়?
হত, মনখারাপ হত। তবে এখন আর কোনও মনখারাপ নেই। সত্যি ভালবাসতাম ওকে। কিন্তু কাজের মধ্যে সব সময় ঝগড়ার প্রেশার আর নিতে পারছিলাম না। এখন আমার কাছে কেরিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ছবি: অনির্বাণ সাহা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy