প্রেমে আর যুদ্ধে কী কী চলতে পারে, তা তর্কযোগ্য। বলিউড প্রেম দেখেছে অগুনতি, যুদ্ধও দেখেছে। কিন্তু এমন যুদ্ধ দেখেনি স্মরণকালে। গত প্রায় ৪৮ ঘণ্টা ধরে যেটা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যতই তা গড়াচ্ছে, বেআব্রু হয়ে পড়ছে মুম্বইয়ের সিনে দুনিয়ার অন্য এক কালো অবয়ব।
এই লড়াইয়ের বাইশ গজ— রেকর্ড করা একটি মোবাইল-কথোপকথন। যেখানে একটি লোক খুলে-আম দাবি করছেন, তিনি এক প্রযোজক-পরিচালকের থেকে ২৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। এবং তাই তিনি টুইটারে ওই পরিচালকের ছবির প্রশংসা করছেন। আর নিন্দে করছেন অন্য একটি ছবির। শুনে অন্য কণ্ঠ বলছে, ‘‘আমরাও তো তোমায় কিছু দিতে পারতাম!’’
এই রেকর্ডিং যিনি টুইটারে পোস্ট করেছেন, তিনি অজয় দেবগন। ২৫ লাখ পেয়েছেন বলে দাবি করছেন যিনি, তিনি মাঝারি মানের কয়েকটি ছবির অভিনেতা, গরমাগরম টুইট ও বিতর্কিত মন্তব্যের জেরেই কার্যত প্রচারে থাকা কামাল রশিদ খান। এবং ওই টেপে কামালের দাবি, তাঁকে টাকাটা দিয়েছিলেন কর্ণ জোহর!
এর পরেও নাটকের যদি কিছু বাকি থাকে, তা হল, ব্লকবাস্টার পরিচালকের নাম করে অজয়ের বিবৃতি। ঘটনাচক্রে যিনি কর্ণের ঘনিষ্ঠ বন্ধু কাজলের স্বামী। নায়কের বিবৃতি বলছে, ‘‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রিরই কেউ কেউ যে এই ধরনের লোকেদের (কামাল) মদত দিচ্ছেন, সেটা খুব দুঃখজনক। কর্ণ জোহর এই ঘটনায় জড়িত কি না, তার তদন্ত হোক।’’
কর্ণের ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ এবং অজয় অভিনীত-পরিচালিত ‘শিবায়’— দু’টো ছবিরই মুক্তির কথা দিওয়ালিতে। গত ৩০ অগস্ট টুইটারে কামাল লেখেন, একই দিনে বেরোলে ‘অ্যায় দিল...’-এর সামনে মুখ থুবড়ে পড়বে ‘শিবায়’। অজয়ের আপলোড করা রেকর্ডিংয়ের অন্য গলাটি ‘শিবায়’-এর প্রযোজক কুমারমঙ্গত পাঠকের বলে দাবি করা হচ্ছে। কুমার সেখানে জানতে চাইছেন, কামাল কেন অজয়ের ছবির সমালোচনা করে টুইট করছেন? কেনই বা প্রশংসায় ভরাচ্ছেন কর্ণকে?
উত্তরে কামাল বলছেন, ‘‘যে ২৫ লাখ দিয়েছে, তার প্রশংসা তো করতেই হবে।’’ কুমার যখন বলছেন, ‘আমরাও কিছু দিতে পারতাম’, কামাল বলছেন, ‘‘তোমাদের জন্য ফ্রি-তে করে দেব।’’ অথচ পরে টুইটারে কামাল দাবি করেন, কুমারকে এড়ানোর জন্যই তিনি ২৫ লাখের গল্পটা ফেঁদেছিলেন। আসলে কর্ণের সঙ্গে তাঁর কোনও লেনদেনই হয়নি। কর্ণ মোটেই তাঁকে শিবায়-এর নিন্দে করতে বলেননি। বরং টেপে তো শোনাই গিয়েছে,অজয়-শিবির কী ভাবে তাঁকে টাকার লোভ দেখাচ্ছিল। অজয়কে তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘নিজের লড়াই নিজে লড়ুন।’
কর্ণ মুখ খোলেননি। তবে বলিউডের এক অপ্রীতিকর দরজা এই ঘটনায় খুলে গিয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। যেখানে পরতে পরতে জড়িয়ে সন্দেহ আর অবিশ্বাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy