Advertisement
১৭ মে ২০২৪
coronavirus

অতিমারি রুখতে লকডাউন জরুরি কিন্তু সংসার চলবে তো? প্রশ্ন টলিপাড়ার

আনন্দবাজার ডিজিটাল যোগাযোগ করেছিল ছোট পর্দার অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালকদের সঙ্গে। ২০২০-র ভয়ঙ্কর দিনগুলো ফের ফিরতে চলেছে? কী বলছেন তাঁরা?

২০২০-র ভয়ঙ্কর দিনগুলো ফের ফিরতে চলেছে?

২০২০-র ভয়ঙ্কর দিনগুলো ফের ফিরতে চলেছে?

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২১ ১৯:২৯
Share: Save:

ফের লকডাউন। আগামী ১৫ দিনের জন্য জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ সমস্ত দফতর, সরকারি প্রতিষ্ঠান। বন্ধ থাকবে দোকানপাট, যান চলাচল। স্টুডিয়োপাড়ায় শ্যুটিংও কি বন্ধ থাকবে? আনন্দবাজার ডিজিটাল যোগাযোগ করেছিল ছোট পর্দার অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালকদের সঙ্গে। ২০২০-র ভয়ঙ্কর দিনগুলো ফের ফিরতে চলেছে? কী বলছেন তাঁরা?

আচমকা লকডাউন ঘোষণায় দম ফেলার ফুরসতটুকু নেই সৌমিতৃষা কুণ্ডু ওরফে ‘মিঠাই’-এর। তারই ফাঁকে জানালেন, ‘‘লকডাউনের ভাল-মন্দ দুটো দিকই আছে। যাঁরা দৈনিক মজুরিতে কাজ করেন তাঁদের সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠবে।’’ পাশাপাশি তাঁর এটাও দাবি, লকডাউন ভাইরাসের শৃঙ্খলা ভাঙতে সাহায্য করবে। তাই অতিমারিকে রুখতে সাময়িক সব কিছু বন্ধ রাখা ছাড়া সত্যিই অন্য উপায় তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। সৌমিতৃষার ভয়, ১৫ দিনের লকডাউনে সংসার চালানো সম্ভব। সময়সীমা বাড়লে বহু মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাবেন।

ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় এই মুহূর্তে ওয়েব সিরিজের শ্যুটে ব্যস্ত। লকডাউন সংক্রান্ত নির্দেশিকা তিনিও পড়েছেন। তাঁর মতামত কী? প্রশ্ন রাখতেই জবাব তাঁর, ‘‘সত্যিই রাত কার্ফুর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু দিনে যানবাহন বন্ধ থাকলে কাজ হবে কী করে!’’ হঠাৎ করে ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা নিয়েও দ্বিধা তাঁর মনে। দাবি, এত দিন এ ভাবে চলা খুব সহজ নয়। কারণ, ১৫ দিন কম সময় নয়। এ দিকে নির্দেশিকায় স্টুডিয়োপাড়া, শ্যুটিং নিয়ে কিছু বলা হয়নি। তাই তাঁর প্রশ্ন, তা হলে কি শ্যুটিং চলবে? সেটা হলে তার জন্য অল্প যান-বাহন চালাতে হবে সরকারকে। কারণ, সব অভিনেতা, কলাকুশলীর গাড়ি নেই। তাঁরা যাতায়াত করবেন কী করে? বাড়িতে শ্যুটিং প্রসঙ্গে অভিনেতার মত, এ ভাবে শ্যুটিং হয় না। বড় জোর নিজেদের তৈরি ছোট ছবি, গানের ভিডিয়ো বানানো যেতে পারে। একটা সময়ের পরে কমবেশি সবারই যে সংসার চালাতে কষ্ট হবে, এ কথাও জানাতে ভুললেন না তিনি। তাই রাজ্য সরকারের কাছে ভাস্বরের আবেদন, মুখ্যমন্ত্রী যেন অভিনয় শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষদের কথা একটু বিবেচনা করেন।

অতিমারি ঠেকাতে লকডাউন জরুরি। এ কথা আগেও আনন্দবাজার ডিজিটালকে বলেছিলেন প্রযোজক স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তাই ঘোষিত লকডাউনকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। স্নেহাশিসের মতে, ‘‘আমি জানি, অনেকের অনেক সমস্যা হবে। তবু প্রাণ বাঁচাতে এই ঘোষণার দরকার ছিল।’’ ধারাবাহিকগুলোর কী হবে? প্রযোজকের কথায়, তিনি ইতিমধ্যেই চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলেছেন বিষয়টি নিয়ে। প্রযুক্তির উন্নতিকে কাজে লাগিয়ে বাড়িতে বসে কিছু অংশের শ্যুট করে সম্প্রচারণ করার পরামর্শও দিয়েছেন। তবে স্নেহাশিসের মতে, পুরোটাই নির্ভর করবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের উপর। এখনও তাঁরা কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেননি।

স্নেহাশিসের কথার সুর শোনা গেল ‘রাণী রাসমণি’, ‘মিঠাই’-এর পরিচালক রাজেন্দ্র প্রসাদ দাসের কথাতেও। তিনিও লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, কিছু পর্ব ব্যাঙ্কিং করা আছে। আপাতত সে গুলোই সম্প্রচারিত হবে। যানবাহন বন্ধ থাকলে কারওর পক্ষেই শ্যুটিংয়ে আসা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ যা নির্দেশ দেবেন সেটাই মানবেন তিনি।

আনন্দবাজার ডিজিটাল কথা বলেছিল ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের সঙ্গেও। তিনি জানিয়েছেন, বৈঠক না করে এক্ষুণি কিছু বলা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tollywood coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE