কিছু দিন আগেই মুম্বইয়ে গাজ়ার জন্য একটি মিছিলের প্রচার করে কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন স্বরা ভাস্কর। প্রশ্ন উঠেছিল, “পহেলগাঁও কাণ্ডের সময়ে কোথায় ছিলেন?” থামেননি স্বরা। তাঁর সমাজমাধ্যম জুড়ে শুধুই গাজ়া-সংক্রান্ত পোস্ট।
এই মুহূর্তে অশান্ত বিশ্ব। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির পরিস্থিতি উত্তপ্ত। ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার দাবি করেছিল আমেরিকা। তার ঠিক এক দিনের মধ্যেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরান ও ইজ়রায়েল যুদ্ধবিরতির পথে এগোচ্ছে। যদিও এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ইরান। তবে, ইরান-ইজ়রায়েল নিয়ে সরাসরি কোনও বক্তব্য রাখেননি স্বরা। তিনি একের পর এক পোস্ট করছেন গাজ়ার পরিস্থিতি নিয়ে। সোমবার রাতে গাজ়ার একটি নৃশংস ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নেন অভিনেত্রী। মূল পোস্টটি লেখিকা আসাল রাদের। গাজ়ার এক বাসিন্দার ক্ষতবিক্ষত ছবি ভাগ করে নিয়ে আসাল লিখেছেন, “ইজ়রায়েলের মানবিক সাহায্য।” এই পোস্ট ভাগ করে নিয়ে স্বরা লিখেছেন, “এই সময় গাজ়া।”
এক্স হ্যান্ডলে গাজ়ার এক বাসিন্দার বক্তব্য ‘রি-পোস্ট’ করেছেন স্বরা। গাজ়াবাসী লিখেছেন, “পরিবারের জন্য খাবার আনতে বেরিয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে আমিও থাকতে পারতাম।”
আরও পড়ুন:
ইংল্যান্ডের রাজনীতিবিদ্ ক্লদিয়া ওয়েবে তাঁর একটি পোস্টে লিখেছেন, “তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ? সারা বিশ্বের শান্তি লঙ্ঘণ করার জন্য ইজ়রায়েলই সবচেয়ে বড় হুমকি। অবিলম্বে নেতানিয়াহুকে গ্রেফতার করা হোক।” এই পোস্টও সমর্থন জানিয়ে নিজের সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন স্বরা। গাজ়ার সমর্থনে এবং ইজ়রায়েলের এমনই বিপক্ষে অজস্র পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী।
কিছু দিন আগে গাজ়া ও সমগ্র প্যালেস্তাইনের সংহতির জন্য মুম্বইয়ের আজ়াদ ময়দানে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সমাজমাধ্যমে সেই সভার হয়ে প্রচার করেছিলেন স্বরা ভাস্কর। এই সভার আয়োজন করেছিল সিপিআই, সিপিআইএম, সিপিআইএমএল, আরএসপি, সমাজবাদী পার্টি-সহ আরও বেশ কয়েকটি বাম দল। সভার পোস্টার সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়ে সকলকে উপস্থিত থাকার বার্তা দেন স্বরা। তার পরেই তাঁর দিকে ধেয়ে এসেছিল কটাক্ষ। আবার অনেকেই সমর্থনও জানিয়েছিলেন অভিনেত্রীকে।