শুটিংয়ের ফাঁকে আবির-সোহিনী।
এম এ পড়ুয়া অরণি। তাঁর দাদা সিইএসসি-কর্মী অনির্বাণ। মাকে নিয়ে দুই ভাইবোনের ছোট্ট সংসার। হঠাত্ই কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান অনির্বাণ। সামনে থেকে অনির্বাণের দুর্ঘটনা দেখেও কিছু করতে পারেননি তাঁর প্রিয় বন্ধু অভিজিত্। তিনিও একই সংস্থার কর্মী। এ দিকে পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যের মৃত্যুতে শুরু হয় অরণির স্ট্রাগল।
ঠিক এমন গল্পকেই ফ্রেমবন্দি করছেন পরিচালক অরিন্দম শীল। তাঁর কথায়, ‘‘সিইএসসি সচেতনতা মূলক প্রচারের অঙ্গ হিসেবে প্রতি বছরই এমন কিছু করে। গত বছর প্রথম আমি ওদের সঙ্গে কাজ করি। ওদের ভাল লাগে। এ বারও অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেন হিসেবেই তৈরি করছি এই শর্ট ফিল্ম, একটি মৃত্যুর পরে।’’
অরণির চরিত্রে অভিনয় করছেন সোহিনী সরকার। এর আগে ‘ভালবাসার শহর’ নামের একটি শর্ট ফিল্মে ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তবে ‘একটি মৃত্যুর পরে’ ছবির মুখ্য চরিত্রে তিনি। অভিনেত্রী শেয়ার করলেন, ‘‘প্রিয়জন চলে যাওয়ার পর মনের মধ্যে তো অনেক রাগ, ক্ষোভ জন্মায়। এই ছবিতে গল্পের শেষে গিয়ে অরণির হিসেব নিকেশ যেন ওলট-পালট হয়ে যায়।’’
আরও পড়ুন, ‘আমি জয় চ্যাটার্জি’, কেন এ কথা বলছেন আবির?
অভিজিতের চরিত্রে দেখা যাবে আবির চট্টোপাধ্যায়কে। শুটিংয়ের ফাঁকে বললেন, ‘‘এই ছবিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা মেসেজ রয়েছে। চরিত্রে যে প্রচুর শেডস আছে, এমন নয়। বরং একটা পরিস্থিতিতে কী ভাবে রিঅ্যাক্ট করে সেটাই দেখানো হবে।’’
শুটিং ব্রেকে অরিন্দমের সঙ্গে আবির ও সোহিনী।
‘একটি মৃত্যুর পরে’র গল্প লিখেছেন দেবলীনা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়। চিত্রনাট্যের দায়িত্ব সামলেছেন পদ্মনাভ দাশগুপ্ত। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩০ জানুয়ারি মুক্তি পাবে এই ২০ মিনিটের শর্ট ফিল্মটি।
ছবি ও ভিডিও: মৃণালকান্তি হালদার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy