‘দঙ্গল’-এর একটি দৃশ্যে মহাবীর ও কোচ। ছবি: সংগৃহীত।
প্রথম তিন দিনে ১০০ কোটির ক্লাবে ঢুকে পড়া, দুর্দান্ত রিভিউ, অগণিত শুভেচ্ছা— এগুলো যদি হয় ‘দঙ্গল’-এর পজিটিভ দিক, নেগেটিভও রয়েছে। সৌজন্যে কুস্তির জাতীয় স্তরের কোচ পি আর সন্ধি। গত ২৩ ডিসেম্বর কুস্তিগীর মহাবীর সিংহ ফোগতের বায়োপিক ‘দঙ্গল’ মুক্তির পর তিনি সরাসরি অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর দাবি, পর্দায় যে ভাবে তাঁর চরিত্রটি দেখানো হয়েছে বাস্তবে আদৌ তিনি তেমন কোনও কাজ করেননি। টিম ‘দঙ্গল’-এর কাছ থেকে এর সন্তোষজনক কোনও ব্যখ্যা না পেলে আদালতে যাওয়ারও হুমকিও দিয়েছিলেন সোঁধি।
গোটা বিষয়টি নিয়ে এতদিন টিম ‘দঙ্গল’-এর মুখে কুলুপ ছিল। এ বার মুখ খুললেন স্বয়ং আমির খান। ছবিতে তিনি মহাবীরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। গত বৃহস্পতিবার আমির সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘প্রত্যেক বায়োপিকেই কিছু কাল্পনিক বিষয় থাকে। তবে গল্পের মূল সুর একই রাখা হয়।’’
আরও পড়ুন, কেমন গেল ২০১৬ আনন্দ থেকে বিষাদ, ভাল থেকে মন্দ, কোথায় কী হল
এর আগে ‘দঙ্গল’-এ পিআর সন্ধির ভূমিকায় অভিনয় করা গিরিশ কুলকার্নিও আমিরের সুরেই কথা বলেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, ‘‘সিনেমার শুরুতেই বলে দেওয়া হয়েছিল এটা ফিকশন। সিনেমা সম্পর্কে জানলে এটা জানা উচিত সিনেমার এইটুকু স্বাধীনতা থাকে।’’
‘দঙ্গল’-এ দেখানো হয়েছে কমনওয়েলথের ফাইনাল ম্যাচে যখন গীতা ফোগত কোর্টে নামছেন তখন ভুলিয়ে মহাবীরকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। যার নেপথ্যে ছিলেন কোচ সন্ধি। কারণ হিসেবে দেখানো হয়, কোচ থাকতেও গ্যালারি থেকে মেয়েকে উপদেশ দিয়েছিলেন বাবা মহাবীর। যেটা কোচ হিসাবে সন্ধি মানতে পারেননি। কিন্তু বাস্তবে নাকি আদৌ এমন কিছুই ঘটেনি।
পিআর সন্ধি বলেছিলেন, ‘‘আমি সিনেমাটা দেখিনি। কিন্তু অনেকেই বলেছেন এই সিনেমায় আমাকে যে ভাবে দেখানো হয়েছে, সেটা অপমানজনক। শুধু আমার নয় পুরো কোচিং কমিউনিটিরই অপমান। আমার আমিরের বিরুদ্ধে কিছু বলার নেই। শুটিংয়ের সময় আমার সঙ্গে লুধিয়ানায় দেখাও হয়েছিল। আমার বিশ্বাস আমির যদি জানতে পারে ওরও খারাপ লাগবে।’’
আরও পড়ুন, ব্র্যাডের সন্তানের মা হতে চলেছেন কেট?
২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ভারতীয় দলের কোচিং করিয়েছিলেন পি আর সন্ধি। ২০১০ কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী মহিলা দলের কোচ ছিলেন তিনি। গীতা ও ববিতাকেও সেই সময় কোচিং করিয়েছিলেন তিনি। এত সাফল্যের পরও সিনেমায় তাঁর চরিত্র যেভাবে দেখানো হয়েছে সেটা গ্রহণযোগ্য নয় বলেই মনে হয়েছে তাঁর। সন্ধির কথায়, ‘‘মহাবীরজি আমার পুরনো বন্ধু। দিল্লি কমনওয়েলথের সময় এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি যেমনটা সিনেমায় দেখানো হয়েছে। আমি গীতাকে মেয়ের মতো দেখতাম। আমি অবাক এটা দেখে যে ফোগতের পরিবার থেকে কোনও প্রতিবাদ করা হল না।’’ ফোগত পরিবারের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার কথাও ভেবেছিলেন তিনি। তবে এই বিতর্কে আমিরের উত্তর শুনলে তাঁর মত বদলে যাবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন, কপূরদের ক্রিসমাস স্পেশাল লাঞ্চের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy