‘ভালবাসার শহর’-এর একটি দৃশ্যে জয়া। ছবি: ‘এবেলা’র ইউটিউব পেজের সৌজন্যে।
আছে লোহা ভাঙা…খাতা… রেডিওতে একটানা খবর… পুজো সেরে কাজে বেরনো মেয়েটিকে জড়িয়ে নিম্ন মধ্যবিত্ত গন্ধ।
মেয়েটি অন্নপূর্ণা। নিঃসাড়ে পড়ে থাকা অসুস্থ মেয়ে নুরির দেখাশোনা করে সে। সংসার সামাল দিতে দিনে ১২-১৪ ঘণ্টা পরিশ্রম করে। অন্য উপায়ে উপরি রোজগারের অফারও আসে। কিন্তু তাতে মন সায় দেয় না।
আর?
আর অপেক্ষা করে…। বড় দীর্ঘ সেই অপেক্ষা। ভালবাসার মানুষের ফিরে আসার অপেক্ষা। আদিলের ফিরে আসার অপেক্ষা। আবহে বাজতে থাকে, ‘আমারে ছাড়িয়া বন্ধু কই গেলা রে…।’
আদিল আর নুরিকে নিয়ে ঘর বেঁধেছিল অন্নপূর্ণা। দূর দেশের এক যুদ্ধ তাতে থাবা বসিয়েছে। কেড়ে নিয়েছে অন্নপূর্ণার সাধারণ চাওয়া-পাওয়া। ভালবাসার শহর কলকাতা কি ফিরিয়ে দেবে তার পাওনা? গল্প বুনেছেন পরিচালক ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী। তাঁর ‘ভালবাসার শহর’ ছবিতে।
আরও পড়ুন, পূজারিনির নতুন উড়ান, সঙ্গী কে জানেন?
ইন্দ্রনীল, আপনাকে কুর্নিশ।
কারণ?
বিষয় ভাবনায় যে আপনি স্বতন্ত্র, তার প্রমাণ আগেও দিয়েছেন। ‘ফড়িং’ তার জ্যান্ত নজির। সেই এক্সপেকটেশন নিয়ে ছবি দেখতে বসলে আপনি হতাশ করবেন না, গ্যারান্টি। কিন্তু কুর্নিশ আপনার প্রাপ্য, এই সাহসটা দেখালেন বলে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ছবি মুক্তির পথটা আরও মসৃণ ভাবে দেখালেন। বড় বাজেট, প্রোমোশন, ডিস্ট্রিবিউশন কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে সরাসরি দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এই উদ্যোগকে কুর্নিশ। এবেলা ডট ইনের প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল রিলিজ হল এই ছবি।
ছবির একটি দৃশ্যে সোহিনী ও জয়া। ছবি: ‘এবেলা’র ইউটিউব পেজের সৌজন্যে।
‘ভালোবাসার শহর’ নির্দিষ্ট কোনও শহরের গল্প নয়। এটা আসলে পৃথিবীর যে কোনও শহরের গল্প। মাত্র তিরিশ মিনিটের ছবিটিকে আক্ষরিক অর্থেই ‘অন্নপূর্ণা’র মতো আগলে রেখেছেন জয়া আহসান। দৈনন্দিনের রোজনামচা পেরিয়ে নিয়তিকে মেনে নেওয়ার লড়াইয়ে আপনি উত্তীর্ণ। ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার ও অরুণ মুখোপাধ্যায় নিজেদের কাজ করে গিয়েছেন নিঃশব্দে।
ছবির শেষে পেটিএম নম্বর ও ব্যাঙ্ক ডিটেলস দিয়ে সরাসরি দর্শকের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন একেবারেই নতুন উদ্যোগ। মাত্র তিরিশ মিনিটের ব্যাপার। মাউস অথবা স্মার্ট ফোনের এক ক্লিকেই ‘ভালবাসার শহর’ এখন আপনার কাছে বন্দি। সৌজন্যে ইউটিউব অথবা ভিমিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy