গুলিবিদ্ধ অদিতি অধিকারী। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।
তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে ছোড়া গুলি বিঁধল পথচলতি শিক্ষিকার বুকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই শিক্ষিকাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকেরা। সোমবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর ঘটনা। এই ঘটনার জেরে যশোহর রোড অবরোধ করলে জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ বাধে। জখম হন তিন পুলিশকর্মী-সহ মোট ছ’জন।
কী ঘটেছিল এ দিন?
পুলিশ সূত্রে খবর, সকাল তখন পৌনে ১১টা। যশোহর রোড ধরে মোটরবাইকে করে আসছিলেন স্থানীয় ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল সদস্য হুজুর আলি শেখ। উত্তর ছয়ঘরিয়ার কাছে আসতেই এক দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। কিন্তু সেই গুলি হুজুরের গায়ে না লেগে বেঁধে পাশের ভ্যানরিকশায় থাকা অদিতি অধিকারীর বুকে। ৩২ বছর বয়সী ওই মহিলা স্থানীয় আনন্দমার্গ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তাঁর বাড়ি বনগাঁ শহরেরই ট-বাজারের কাছে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে স্থানীয় বনগাঁ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় অদিতিদেবীকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ তৃণমূলের ওই স্থানীয় নেতাকে গুলি করা হল কেন?
হুজুর আলির কথায়, “সিপিএম মারল। কেন, তা কী করে বলব?” আর পুলিশ বলছে, এখনও বিষয়টা পরিষ্কার নয়। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, পুরনো শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।
প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের উপর গুলিচালনার ঘটনা এবং তাতে শিক্ষিকার জখম হওয়ার প্রতিবাদে ছয়ঘরিয়ার কাছে যশোহর রোড অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে নামানো হয় র্যাফও। অবরোধকারীদের সঙ্গে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের গণ্ডগোল বাধলে র্যাফ-এর দু’জন কর্মী এবং বনগাঁ থানার এক অফিসার জখম হন। ঘটনায় তিন জন গ্রামবাসীও আহত হয়েছেন। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পুলিশি টহল চলছে।
প্রতিবেশীকে ছোড়া গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট, চুঁচুড়ায় প্রাণ গেল ছাত্রের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy