Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Bus

সম্পাদক সমীপেষু: নন-এসি বাসের দাবি

এমনিতেই জীবন-জীবিকায় জেরবার মানুষ আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সঙ্গতি রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে খরচের বোঝা কমাতে অনেক ক্ষতি স্বীকার করেও এসি বাসের যাত্রী হতে চাইছেন না বহু মানুষ।

—ফাইল চিত্র।

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২৪ ০৬:০২
Share: Save:

যাদবপুর থেকে সল্টলেক করুণাময়ী রুটের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বাস এস-৯। এই পথে নিত্যযাত্রীর সংখ্যাও অনেক। চাকরি ও জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে তো বটেই, চিকিৎসার প্রয়োজনেও বহু মানুষ এই পথে যাতায়াত করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের অন্যতম সম্বল এই এস-৯ বাসটি। এক সময় এই বাসের যাত্রী পরিষেবা সুন্দর ছিল। কিছু সময়ের ব্যবধানেই পাওয়া যেত বাস। সামান্য ভাড়ায় এই বাসেই যেতেন বহু মানুষ। কিন্তু সম্প্রতি এই রুটে এসি বাসের সংখ্যা প্রচুর বেড়েছে। আগের নন এসি বাস প্রায় নেই বললেই চলে। কর্মচারীদের কাছে নন এসি বাসের বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁরাও সদুত্তর দিতে পারেন না। ফলে জরুরি কাজের তাড়ায় সাধারণ মানুষকে বেশি ভাড়ায় এসি বাসেই যেতে হচ্ছে। আর যাঁদের সামর্থ্য কম, তাঁদের নন এসি বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

এমনিতেই জীবন-জীবিকায় জেরবার মানুষ আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সঙ্গতি রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে খরচের বোঝা কমাতে অনেক ক্ষতি স্বীকার করেও এসি বাসের যাত্রী হতে চাইছেন না বহু মানুষ। ফলে পরিকাঠামোগত ভাবে ব্যয়বহুল এসি বাসগুলো অনেক ক্ষেত্রে প্রায় খালিই যাচ্ছে, তাও নন এসি বাস চালানো হচ্ছে না। এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে চাই। অতিরিক্ত ব্যয়ে এসি বাস না চালিয়ে সাধারণ মানুষের সুবিধা অনুযায়ী নন এসি বাসের সংখ্যা বাড়ালে সবাই উপকৃত হবেন।

সুমন দাস, কলকাতা-৩২

বাবুঘাট

বাবুঘাট বাস টার্মিনাস-এর পরিপ্রেক্ষিতে এই চিঠি। এখান থেকে রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরের বিভিন্ন রুটের বেসরকারি বাস চলাচল করে। স্বভাবতই প্রতি দিন অগণিত মানুষের সমাগম হয়। তার জন্য ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা যেমন প্রতীক্ষালয়, সুলভ শৌচাগার, টিকিট কাউন্টার, খাবারের দোকান, জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা— সবই আছে। কিন্তু থেকেও না থাকার সমান। চাকরিসূত্রে রোজ সকাল ও সন্ধ্যা এর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। তখন দেখতে পাই বিদ্যমান জরাজীর্ণ বিবর্ণ কাঠামোগুলিকে। কোথাও পলেস্তারা খসে গিয়েছে, কোথাও বা কংক্রিটের টুকরো ঝুলছে, কোথাও আবার লোহার রড উঁকি দিচ্ছে। আর তার নীচে অজস্র খাবারের দোকান রমরমিয়ে চলছে, যেখানে পথচলতি মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্ষুধা নিবারণ করেন। বর্ষাকালে এখানকার অবস্থা আরও অস্বাস্থ্যকর এবং বিভীষিকাময় হয়ে ওঠে। যে কোনও সময় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা করে টার্মিনাসটির চেহারা বদলানো যায়।

সন্দীপ মণ্ডল, কোন্নগর, হুগলি

অ্যাপের তথ্য

বর্তমানে স্মার্টফোনের যুগে অধিকাংশ ট্রেনযাত্রীরই মোবাইলে ট্রেনের অ্যাপ থাকে। অথচ, এই সব অ্যাপের অনেকগুলিই ঠিকমতো কাজ করে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেগুলি ট্রেনের অবস্থান সঠিক ভাবে দেখায় না। ফলে, ট্রেন ধরতে গিয়ে অনেক সময়েই যাত্রীরা সমস্যার সম্মুখীন হন। নাগরিক পরিষেবার স্বার্থে অবিলম্বে ট্রেনের অ্যাপগুলি যাতে সঠিক তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারে, তার উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হোক।

তাপস দাস, সিঙ্গুর, হুগলি

অনিয়ম

এই প্রচণ্ড গরমে ঘন ঘন ট্রান্সফর্মারের ফিউজ় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এক দৈনিক যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে, মূলত, রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এলাকায়। এর একমাত্র কারণ ট্রান্সফর্মার ওভারলোডিং। এই ওভারলোডিংয়ের কারণ, রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদকে না জানিয়ে অনেকেই ঘরে এসি লাগাচ্ছেন। ফল ভুগতে হচ্ছে জনগণকে। লোড বৃদ্ধির আবেদন না জানিয়ে এসি লাগানোর এই প্রবণতা কঠোর হাতে দমন করা আবশ্যক, নয়তো এ জীবনযন্ত্রণা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। এই বিষয়ে সামগ্রিক সচেতনতা প্রয়োজন।

অজয় চৌধুরী, রাজারহাট, উত্তর ২৪ পরগনা

অদ্ভুত নিয়ম

একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আমতা শাখায় কাউন্টার থেকে দশ হাজারের নীচে কোনও টাকা তোলা বা জমা করা যাচ্ছে না। কাউন্টার থেকে সরাসরি গ্ৰাহকদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে নিকটবর্তী গ্ৰাহক পরিষেবা কেন্দ্রে। গ্ৰাহক পরিষেবা কেন্দ্রে ‘লিঙ্ক’, ‘হাতের ছাপ’ বা অন্য কিছু সমস্যা থাকলে, আবার তাঁদের ফিরে আসতে হচ্ছে মূল ব্যাঙ্কের কাউন্টারে। এই গরমে এক বার ব্যাঙ্ক, এক বার গ্ৰাহক পরিষেবা কেন্দ্র করে গ্ৰাহকদের নাজেহাল অবস্থা। এই বিষয়ে ব্যাঙ্কে কোনও লিখিত নির্দেশিকা নেই। প্রশ্ন হল, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কি কেবল যাঁদের বেশি টাকা আছে, তাঁদের জন্য? কেন জোর করে মূল ব্যাঙ্কে পাসবই থাকা সত্ত্বেও কম টাকা তোলা বা জমার জন্য গ্ৰাহকদের পাঠানো হচ্ছে গ্ৰাহক পরিষেবা কেন্দ্রে? এই নিয়ম কি ওই ব্যাঙ্কের সব শাখায় প্রযোজ্য? না কি এই নিয়ম কেবল আমতার জন্য? এমনিতেই আমতা শাখায় টাকা তোলা ও জমা দেওয়ার মাত্র একটি কাউন্টার, তার উপর এই অদ্ভুত নিয়ম। এই বিষয়ে ব্যাঙ্কের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।

দীপংকর মান্না, আমতা, হাওড়া

জলের মিটার

প্রখর দাবদাহে রাজ্যের বহু অংশেই জলকষ্ট শুরু হয়েছে। অথচ, বিনা পয়সায় বাড়িতে পৌঁছে যাওয়া জলের অপচয় বন্ধ হচ্ছে না। বাড়িতে যদি জলের মিটার বসানো হয় তবে হয়তো এই অপচয় বন্ধ হবে। পরিবার-পিছু ন্যূনতম নির্দিষ্ট জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হোক বিনামূল্যে। আর, অতিরিক্ত জল লাগলে তা কিনতে হবে অর্থ দিয়ে। সরকার এই উদ্যোগ করুক দ্রুত।

রাজলক্ষ্মী পাল, কৃষ্ণনগর, নদিয়া

নিয়ম বদল

সম্প্রতি রিষড়ার একটি আইসিএসই বোর্ডের স্কুলে শুরু হয়েছে এক অদ্ভুত নিয়ম। ক্লাস চলাকালীন শিক্ষিকারা চেয়ারে বসতে পারবেন না। তাঁদের দাঁড়িয়ে পড়াতে হবে। ক্লাস থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে চেয়ার। প্রশ্ন হল, শিক্ষিকারা বসে পড়ালে বা বোঝালে কি শিক্ষার মান কমে যায়? একে তো প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে দু’পক্ষকেই স্কুলে আসতে হচ্ছে। তার উপর পর পর ক্লাসে না বসে পড়ানো অত্যন্ত ক্লান্তিকর। স্কুলে ক্লাসের মাঝে বিরতির নিয়ম থাকা জরুরি। বহু শিক্ষক-শিক্ষিকারই শারীরিক নানা সমস্যা থাকে। তাঁদের জন্য এই ধরনের নিয়ম একেবারেই অনুপযোগী। তা ছাড়া কিছু স্কুলে শিক্ষিকাদের বলা হয় ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেই টিফিন খেতে। এতে শিক্ষিকা বা ছাত্রছাত্রী কেউই স্বচ্ছন্দ বোধ করে বলে মনে হয় না। ছোট স্কুলপড়ুয়াদের কাছে টিফিন টাইমটা আনন্দের আর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে সেটা খাবারের সঙ্গে বিশ্রাম ও নিজেদের মতো করে কাটানোর সময়। এ-হেন অদ্ভুত নিয়মে কারও উপকার হয় না। অনেক বেসরকারি স্কুলে আবার গোপন ক্যামেরা থাকে শিক্ষক-শিক্ষিকার উপর নজরদারির জন্য। স্কুলের সামগ্রিক নিরাপত্তা ও পরিচালনার স্বার্থে ক্যামেরা নিশ্চয়ই জরুরি। কিন্তু শিক্ষকতার ব্রত নিয়ে যাঁরা পড়াতে আসেন, তাঁদের মূল্যায়ন করার হাজারও যৌক্তিক রাস্তা আছে। বরং ক্যামেরা লাগিয়ে নজরদারি স্কুল পরিচালন সমিতির ভরসাহীনতারই প্রকাশ। পরিচালন সমিতিগুলিকে অনুরোধ, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনুকূল পরিবেশে পাঠদান করানোর স্বার্থে অবিলম্বে এই ধরনের নিয়ম বাতিল করা হোক।

অরিত্র মুখোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর, হুগলি

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bus travel Kolkata Bus Transport
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE