হাতে-হাত: ঘোষণার মঞ্চে (বাঁ দিকে) বিড়লা ও কোলাও।
কথা চলছিল বেশ কিছু দিন ধরে। অবশেষে গাঁটছড়া বাঁধার চুক্তি করল ভোডাফোন ও আইডিয়া।
ব্রিটিশ বহুজাতিক ভোডাফোনের ভারতীয় শাখা ভোডাফোন-ইন্ডিয়া আর আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর মোবাইল পরিষেবা সংস্থা আইডিয়া। সোমবার এই দুই সংস্থা মেশার চুক্তি করায় আগামী দিনে তা পরিণত হতে চলেছে দেশের বৃহত্তম টেলি পরিষেবা সংস্থায়। এ দিনই আবার এয়ারসেলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে প্রতিযোগিতা কমিশনের ছাড়পত্র পেয়েছে রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্স। সম্প্রতি টেলিনরকে কেনার কথা জানিয়েছে এয়ারটেলও। সব মিলিয়ে, আগামী দিনে এ দেশে টেলিকম পরিষেবার বাজারে টক্কর জমজমাট হতে চলেছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
কিছু দিন আগেও ভারতে ১২-১৩টি সংস্থা এই ব্যবসায় ছিল। কিন্তু পরিকাঠামো তৈরি, স্পেকট্রাম কেনার মতো খাতে বিপুল খরচ করা ছোট সংস্থাগুলির পক্ষে কতটা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। ফলে অনেকের মতে, এই ব্যবসায় সংস্থার সংখ্যা কমা ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সেই গতি আরও বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে মুকেশ অম্বানীর রিলায়্যান্স জিও-র ‘সুনামি’। গ্রাহক টানতে প্রথমে তাদের নিখরচার পরিষেবা ও পরে কড়া মাসুল-যুদ্ধের ইঙ্গিত ঘুম কেড়েছে প্রতিদ্বন্দ্বীদের। এই পরিস্থিতিতে তাই ভোডাফোন-আইডিয়ার এই জোট তাৎপর্যপূর্ণ।
সোমবার মুম্বইয়ে আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর কর্ণধার কুমার মঙ্গলম বিড়লা এবং ভোডাফোনের সিইও ভিত্তোরিও কোলাও যৌথ ভাবে গাঁটছড়ার কথা জানান। ২০১৮-র মধ্যে যা সম্পূর্ণ হওয়ার কথা। যদিও ইন্ডাস টাওয়ারে ভোডাফোনের ৪২% অংশীদারি লেনদেনের বাইরে। বিড়লার আশ্বাস, তাঁদের জোটের দরুন বড় সংখ্যায় কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা নেই। সিওএআই-এর ডিজি রাজন এস ম্যাথুজ বলেন, ‘‘বিশ্বের পরিণত বাজারগুলিতে ৩-৪টি সংস্থাই ব্যবসা করে।’’
২০০৭ সালে ভারতে পা রাখার পর থেকেই কর সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগেছে ভোডাফোন। যদিও তা এই লেনদেনে প্রভাব ফেলবে না বলে কোলাওয়ের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy