নির্মলা সীতাারামন। —ফাইল চিত্র
গত ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট বক্তৃতা দিতে গিয়ে নিজের রেকর্ডই ভেঙেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। জুলাইয়ে প্রায় দু’ঘণ্টা ১৭ মিনিট ধরে বাজেট পড়েছিলেন। সেই জায়গায় এ বার টানা বলেছেন দু’ঘণ্টা ৪০ মিনিট। শরীর অসুস্থ লাগায় শেষ পর্যন্ত বাজেট পড়া শেষ না-করেই থামতে হয় তাঁকে। তা নিয়েই শনিবার নিজেই দুঃখ প্রকাশ করলেন অর্থমন্ত্রী। আজ চেন্নাইয়ে বাজেট পরবর্তী সভায় তিনি বলেন, ‘‘সকলের অসুবিধা হয়েছে, সে জন্য দুঃখিত। কিন্তু অর্থনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা জরুরি ছিল। তাই বাজেট দীর্ঘ হয়েছে।’’
নির্মলার সহাস্য মন্তব্য, ‘‘আমি জানি না আপনাদের মনে হয়েছে কি না যে, এই মহিলা কেন আড়াই ঘণ্টা ধরে কথা বলছেন! কিন্তু অনেক কিছু বলার ছিল। আর যা বলেছি, তা করাই এখন আমাদের কর্তব্য।’’ অসুস্থ বোধ না-করলে যে পুরো বাজেট পড়া শেষ না-করে থামতেন না, সে কথাও জানাতে ভোলেননি অর্থমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আমি কোনও রেকর্ড করার জন্য এতক্ষণ ধরে কথা বলিনি। বরং বাজেটের প্রস্তুতি পর্বে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তাদের সব পক্ষের আশা পূরণ করতে গিয়েই বক্তৃতা দীর্ঘ হয়েছে।’’
আজ অবশ্য অর্থমন্ত্রী যখন বাজেট বক্তৃতার কথা বলছেন, তখন উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে চর্চার বিষয় হয়ে ওঠেন আর্থিক বিষয়ক সচিব অতনু চক্রবর্তী। যিনি মন্ত্রীর পাশে বসে মাঝে মধ্যে ঢুলছিলেন। ফলে সভায় ফটোগ্রাফারদের নিশানাও হন। প্রসঙ্গত, বাজেট এত লম্বা হওয়ার জন্য এর আগে অতনু চক্রবর্তীই অন্যতম দায়ী বলে জানিয়েছিলেন নির্মলা। বাজেটের পরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, ‘‘মানছি যে বক্তৃতাটি অত্যন্ত দীর্ঘ ছিল। সচিবকে বলেছি যে এত লম্বা কেন লিখেছেন!’’এ দিকে জিএসটি ফাঁকি রুখতে কেন্দ্র তথ্য বিশ্লেষণের সাহায্য নিচ্ছে বলেও আজ জানান নির্মলা। বিভিন্ন রাজ্য থেকে অভিযোগ এসেছে যে, এক শ্রেণির অসাধু করদাতা জিএসটি ফাঁকি দিচ্ছেন। সেই কারণেই এই উদ্যোগ বলে দাবি তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy