প্রতিযোগিতায় যুঝে এগিয়ে যাওয়ার পথে চ্যালেঞ্জ বিস্তর। কিন্তু তা সত্ত্বেও দ্রুত টাটা মোটরসের কপাল ফিরবে বলে আশা করছেন টাটা কর্ণধার সাইরাস মিস্ত্রি। এক সাক্ষাৎকারে তাঁর দাবি, ‘‘সংস্থার চাঙ্গা হওয়ার লক্ষণ ইতিমধ্যেই স্পষ্ট।’’
মিস্ত্রি অবশ্য মানছেন, এই মুহূর্তে ব্যবসার রাস্তাটা তেমন সোজা নয়। গত ৫ বছরে গাড়ি বাজারে প্রতিযোগিতার ধরন আমূল বদলেছে। বিশেষত যাত্রী গাড়িতে। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলি হামেশাই আনছে নিত্যনতুন গাড়ি। ক্রেতাদের সামনে খুলছে পছন্দসই মডেল বাছাইয়ের হাজারো সুযোগ। যে কারণে পায়ের তলার জমি মজবুত রেখে সব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড়ানোর জন্য তাঁরাও কিছু কৌশল নিয়েছেন বলে জানান মিস্ত্রি। এর মধ্যে আছে পণ্য ও পরিষেবার মান উন্নয়ন, বিপণন পোক্ত করা, ব্র্যান্ড সম্পর্কে ধারণা আরও ভাল করার ব্যবস্থা ইত্যাদি। চেয়ারম্যানের কথায়, ‘‘আটটি কৌশল চিহ্নিত করেছি এবং তা রূপায়ণের জন্য কাজে লাগিয়েছি সংস্থার এগ্জিকিউটিভদের।’’
উল্লেখ্য, এ বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে টাটা মোটরসের সার্বিক নিট মুনাফা কমেছে ৫৭%। একক ভাবে সামান্য লাভ হলেও তা ৯১.১১% কম।
তবে শুধু গাড়ি নয় গোষ্ঠীর অন্য কিছু ব্যবসাও যে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে, তা-ও এ দিন স্পষ্টই বলেন মিস্ত্রি। তাঁর মতে, এগুলি সামলানোর দাওয়াই সাহসী কিছু সিদ্ধান্ত। যার এক দিকে আছে অবাঞ্ছিত অংশগুলি ছাঁটাই আর অন্য দিকে অধিগ্রহণ। যে কারণে দেশে-বিদেশে অধিগ্রহণের পথে এগোনোর পরিকল্পনায় জোরও দেন তিনি।
২০১২-র শেষে গোষ্ঠী পরিচালনার ব্যাটন হাতে পাওয়া মিস্ত্রির দাবি, বিশ্ব জুড়ে টালমাটাল আর্থিক পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সংস্থাগুলির অন্দরে আরও গতি ও তৎপরতা আনা জরুরি। কারণ সেটাই লাভের পথে দ্রুত এগোনোর মন্ত্র। যে পথে হেঁটে প্রথম ত্রৈমাসিকে বিপুল লোকসানে ডোবা টাটা স্টিলও চোখে পড়ার মতো বৃদ্ধির রথে সওয়ার হতে পারে, মনে করেন মিস্ত্রি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy