কাজের চাপ যেন শেষই হয় না। সকালে ঘুম থেকে উঠেই কোনওরকমে নাকে-মুখে কিছু একটু গুঁজে অফিসের দিকে দৌড়। আর সন্ধেতে বাড়ি ফিরেই সটান সোফা বা বিছানায়। এই তো রোজের রুটিন। আর সপ্তাহের শেষে ছুটি পেয়েও যেন শান্তি নেই। অফিস প্রোজেক্টের ভাবনা থেকে সংসার সামলানোর ঝক্কি, বাড়ি ভাড়া, ছেলেমেয়ের স্কুল-কলেজের খরচ, তাদের ভবিষ্যৎ- এই সমস্ত চিন্তা করতে করতেই যেন উইকেন্ডটা কেটে যায়। ফের শুরু হয়ে যায় ১০টা-৫টার ডিউটি।
তবে লম্বা ছুটির সুযোগ পেলে, সেই সুযোগের সদব্যবহার কিভাবে করতে হয়, তা বাঙালি জানে। ছুটি পেলেই সমস্ত চিন্তা-ভাবনা দূরে সরিয়ে রেখে, বেরিয়ে পড়ে সপরিবারে, কখনও বা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে দল বেঁধে।
বছরের মধ্যে লম্বা ছুটির কথা বলতে গেলে প্রথমেই আসে গরমের ছুটি। স্কুলে-কলেজে গরমের জন্য একটা লম্বা ছুটি বরাদ্দই থাকে। আর মার্চ-এপ্রিল মাসে ফাইনান্সিয়াল ইয়ারএন্ডিং হওয়ার কারণে অফিসেও কাজের চাপ কমে যায়। ফলে ছুটি পেতে সেভাবে সমস্যা হয় না।
এই তো দেখতে দেখতে নতুন বছরের প্রায় তিনটে মাস কেটে গেল। গরম ইতিমধ্যেই উঁকি মারতে শুরু করে দিয়েছে। আর আম বাঙালির কাছে গরমের ছুটি মানেই তো কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে ঘুরতে যাওয়ার পালা। সঙ্গে ভ্যাপসা গরম থেকে পালিয়ে একটু হাওয়াবদল করে আসা।
(ছবি সৌজন্যে: www.travelchannel.com)
বাঙালির ভ্রমণের পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যাবে, যে কোনও ছুটিতে দেশের অন্দরেই ভ্রমণপর্ব সারে বেশিরভাগ বাঙালি। ছুটিতে বিদেশ ঘুরতে যাওয়া বাঙালির সংখ্যাটা নিতান্তই কম। কারণ বাঙালি ভ্রমনপ্রেমী হলেও বরাবরই পকেটের দিকটা মাথায় রেখে চলে। তাঁরা মনে করে, বিদেশভ্রমণ মানেই বিশাল খরচ। তাই বিশালকিছু সামর্থ্য না থাকলে বা খুব একটা প্রয়োজন না পড়লে, বিদেশের মাটিতে পা রাখে না আম বাঙালি।
কিন্তু বদলে যাওয়া সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে, বাঙালিও তাঁর স্বভাব বদলাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে বাঙালির ভ্রমণসূচীও। আর ২০১৭-তে দাঁড়িয়ে কম খরচায় এই গরমের ছুটিটা বিদেশের মাটিতে অনায়াসেই কাটাতে পারে আম বাঙালি। সৌজন্যে এয়ার এশিয়া। আসলে বিমানের টিকিটে অবিশ্বাস্য ছাড় দিচ্ছে এই সংস্থা। আর হাতের কাছে এতটা কম খরচায়, ব্যাংককে ঘুরে আসাই যায়।
কাছাকাছির মধ্যে বিদেশ বলতে থাইল্যান্ড। এখানকার আবহাওয়া সারা বছরই মনোরম থাকে। তাই এই ছুটিতে থাইল্যান্ড থেকে ঘুরে আসতে পারেন আপনি। উপভোগ করে আসতে পারেন ব্যাংককের সৌন্দর্য্য। এমনিতেই কলকাতা থেকে বিমানে ব্যাংককে পৌঁছতে সময় লাগে তিন ঘণ্টার কাছাকাছি। তার উপরে বাড়তি পাওনা বিমানের টিকিটে এই বিপুল পরিমাণ ছাড়।
(ছবি সৌজন্যে: www.bangkok.com)
ব্যাংককের কথাই যখন উঠল তখন ব্যাংকক নিয়ে একটু বলে নেওয়া যাক। ১৭৮২-তে চকরি সাম্রাজ্যের রাজা রামার আমলে এই শহরটি থাইল্যান্ডের রাজধানীর মর্যাদা পায়। শহরটিকে ব্যাংকক নামে জানলেও এই শহরের আসল নাম ক্রুং থেপ। যার অর্থ দেবদূতের শহর। এখানকার মানুষও অবশ্য তাই বিশ্বাস করেন।
(ছবি সৌজন্যে: www.oneyoungworld.com)
ব্যাংককে একবার গেলে আপনি প্রেমে পড়ে যেতে বাধ্য। এখানকার সৌন্দর্য্য আপনাকে সম্মোহিত করে দেবে। ব্যাংকক সহ গোটা থাইল্যান্ড জুড়েই রয়েছে প্রচুর বৌদ্ধ মন্দির, প্যাগোডা এবং স্মৃতিসৌধ। সর্বদা যেন এক অদ্ভুত শান্তি বিরাজ করছে এই বৌদ্ধ মন্দিরগুলিতে। ধীরে ধীরে ব্যাংককের অন্দরে প্রবেশ করলে চোখে পড়বে চাও ফ্রায়া নদী। এই নদীর তীরেই এই শহরটি গড়ে উঠেছে। প্রাচীন ঐতিহ্য, সংস্কৃতির সঙ্গে আধুনিকতার যেন এক অদ্ভুত মেলবন্ধন হয়েছে এখানে। এই শহরের রাজপথ সর্বদাই ব্যস্ত। আর সন্ধে হলেই আলোর খেলা আপনাকে মুগ্ধ করে দেবে।
জলপথও কিছু কম যায় না। গোটা ব্যাংকক জুড়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি ‘ভাসমান বাজার’। ছোট ছোট কাঠের নৌকো করে সেখানে ফল-সবজি বিক্রি করেন স্থানীয়রা। যা এই শহরের অন্যতম আকর্ষণ। এছাড়াও, ব্যাংককের খাদ্য তো আছেই। যার গন্ধ নাকে এলে কিংবা যা চোখে দেখলে, আপনার জিভে জল আসতে বাধ্য। আর এখানকার থাই ম্যাসাজ তো পৃথিবী বিখ্যাত।
তাহলে আর দেরি কেন? এখনই কেটে নিন টিকিট। রেডি করে ফেলুন পাসপোর্ট-ভিসা। আর ঘুরে আসুন ব্যাংকক থেকে। কে বলতে পারে, প্লেনে আপনার পাশের সিটে পরিচিত কাউকে পেয়ে গেলেন।
অফারটি কিন্তু সীমিত সময়ের জন্য। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে দেখে নিন এয়ার এশিয়ার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
ব্যাংককে আপনার যাত্রা শুভ হোক।
টিকিট বুক করতে এখানে ক্লিক করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy