Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

কয়লা কেলেঙ্কারিতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরূপ প্রভাব বাজারে

গত ১৯৯৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত কোনও কয়লা ব্লক বণ্টনই আইন মেনে হয়নি শীর্ষ আদালতের এই রায় সোমবার বিরূপ প্রভাব ফেলল শেয়ার বাজারে। যার জেরে এ দিন লেনদেনের শেষের দিকে হু হু করে পড়ে যায় সূচক। সারা দিন জুড়ে সেনসেক্সের পতন হয় প্রায় ২০০ পয়েন্ট। এ দিন ডলারের তুলনায় টাকার দামও পড়েছে ৯ পয়সা। ফলে বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৬০.৫৬ টাকা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৪ ০২:১৯
Share: Save:

গত ১৯৯৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত কোনও কয়লা ব্লক বণ্টনই আইন মেনে হয়নি শীর্ষ আদালতের এই রায় সোমবার বিরূপ প্রভাব ফেলল শেয়ার বাজারে। যার জেরে এ দিন লেনদেনের শেষের দিকে হু হু করে পড়ে যায় সূচক। সারা দিন জুড়ে সেনসেক্সের পতন হয় প্রায় ২০০ পয়েন্ট।

এ দিন ডলারের তুলনায় টাকার দামও পড়েছে ৯ পয়সা। ফলে বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৬০.৫৬ টাকা।

এ দিন লেনদেন শুরুর পর থেকে শেয়ার বাজার দ্রুত তেজী হতে শুরু করে। তার সঙ্গে তাল রেখে চড়তে থাকে সূচকের পারা। এক সময়ে আগের দিনের থেকে ২১১ পয়েন্ট বেড়ে সেনসেক্স ঠেকে ২৬,৬৩০.৭৪ অঙ্কে। কিন্তু বেলা দু’টো নাগাদ আদালতের এই রায় প্রকাশিত হওয়ার পরেই পড়তে থাকে সূচক। বিশেষ করে পতন হয় কয়লার উপর নিভর্রশীল সংস্থাগুলির শেয়ার দরের। এর মধ্যে রয়েছে জিন্দল স্টিল, টাটা স্টিল, হিন্দালকো, সেল, হিন্দুস্তান জিঙ্ক ইত্যাদি।

লেনদেনের শুরুর পরে সূচক যতটা বেড়েছিল তার প্রায় পুরোটাই উবে যায় কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে আদালতের ওই রায়ে। সেনসেক্স কোনও মতে আগের দিনের থেকে ১৭.৪৭ পয়েন্ট বেড়ে ২৬,৪৩৭.০২ অঙ্কে থিতু হলেও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফ্টি কিন্তু আগের দিনের থেকে কম অঙ্কে শেষ হয়। নিফ্টি এ দিন এক সময়ে নতুন নজির গড়লেও বাজার বন্ধের সময়ে আগের দিনেরর থেকে ৬.৯০ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৭,৯০৬ অঙ্কে।

আদালতের এই রায় দীর্ঘ মেয়াদে শেয়ার বাজারে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারবে বলে অবশ্য মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বরং আশঙ্কা, কেন্দ্রে নতুন সরকারের প্রতি লগ্নিকারীদের যে-প্রত্যাশা, তা পূরণে বেশি দেরি হলে তার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে শেয়ার বাজারে। অ্যাসোসিয়েশন অব ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ মেম্বার্স অব ইন্ডিয়া-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং সুমেধা ফিসকালের ডিরেক্টর বিজয় মুর্মুরিয়া বলেন, “বিশেষ করে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে দ্রুত কাজ শুরু করা জরুরি। সেটা হলেই বাজারের হাল দ্রুত ফিরবে।”

অবশ্য ভারতের শেয়ার বাজারের উপর বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির আস্থায় কোনও ভাটা পড়েনি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর, গত শুক্রবারও ওই সব সংস্থা এখানে ৩০২.০৬ কোটি টাকা লগ্নি করেছে।

কিছু দিন যাবৎ সেনসেক্সের রেকর্ড মাত্রায় উত্থানের পিছনে বিদেশি লগ্নিকারীরা যে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছে, সে ব্যাপারে সংশয় নেই বিশেষজ্ঞদের। তবে সেনসেক্স ২৬ হাজারের ঘরে গিয়ে নতুন রেকর্ড তৈরি করলেও শেয়ার বাজারে স্থিতিশীলতা এসেছে বলে মানতে নারাজ তাঁরা। বাজার কিছুটা বাড়লেই হাতের শেয়ার বেচে লাভের টাকা তুলে নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে লগ্নিকারীদের মধ্যে।

এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুর্মুরিয়া বলেন, “সূচক একতরফা ভাবে বেড়ে গিয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করলেও ইস্পাত-সহ বেশ কিছু শিল্পের হাল তেমন ভাল নয়। পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও কাজের গতি এখনও তেমন ভাবে আসেনি। তা ছাড়া বাজারে এখনও সাধারণ খুচরো লগ্নিকারীদের দেখা মিলছে না। তাই বাজার সার্বিক ভাবে বাড়ার সুযোগ কম। স্থিতিশীলতা আসার সম্ভাবনা নিয়েও আমার সংশয় রয়েছে।”

আমানতের সংজ্ঞা ঢেলে সাজছে আরবিআই। সংবাদ সংস্থার খবর: সারদা কেলেঙ্কারির মতো ঘটনা ঠেকাতে এ বার আমানতের সংজ্ঞা নতুন করে স্থির করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কেন্দ্রের সঙ্গে যৌথ ভাবে এটি করা হচ্ছে বলে জানান আর বি আইয়ের ডেপুটি গভর্নর আর গাঁধী। বেআইনি ভাবে টাকা জমা নেওয়া, জনসাধারণের থেকে টাকা তোলা ইত্যাদি নিয়ে এ ধরনের সংস্থাগুলি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ায় এই উদ্যোগ। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য সচিব ও অর্থ সচিবদের নিয়ে বৈঠকে গাঁধী জানান, আমানতের বর্তমান সংজ্ঞায় বেশ কিছু খামতি রয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE