নীরব-কাণ্ড নিয়ে এ বার পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) এবং অর্থ মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনার কে ভি চৌধুরী। নানা সূত্রে খবর, প্রায় ১১,৪০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরে ব্যাঙ্ক কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, মূলত তা নিয়ে কথা হয়েছে সোমবারের বৈঠকে।
আঁটোসাঁটো নজরদারির জন্য সম্প্রতি পিএনবি-কে পুরস্কৃত করায় সোশ্যাল মিডিয়া সমেত নানা মহলে সমালোচনার মুখে পড়েছে ভিজিল্যান্স কমিশন। অনেকের মতে, সে দিক থেকেও এই আলোচনা তাৎপর্যপূর্ণ।
কেন্দ্রীয় আর্থিক বিষয়ক সচিব আবার এ দিনই পিএনবির উদ্দেশে স্পষ্ট বলেন যে, অন্যান্য ব্যাঙ্কের সঙ্গে আইন মেনে হওয়া সমস্ত লেনদেনের দায় নিতে হবে তাদের। সেই দায়িত্ব এড়িয়ে না যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পিএনবি-ও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির শীর্ষ কর্তাদের বৈঠকে ডেকেছে অর্থ মন্ত্রক। সেখানে জানতে চাওয়া হতে পারে, এখন তাদের হিসেবের খাতার অবস্থা কেমন। শোনা যাচ্ছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে অডিটর নিয়োগের পদ্ধতি খতিয়ে দেখার কথাও ভাবছে কেন্দ্র।
পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির বৈঠকে স্টেট ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, তাদের যথাক্রমে ১,৩৬০ কোটি ও ৭০০ কোটির ঋণ জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে। তৃণমূলের সুখেন্দু শেখর রায়ের প্রশ্ন ছিল, টাকা ফেরত না পেলে কী হবে? সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, তার দরুন অনুৎপাদক সম্পদ ফের বাড়বে বলে মেনেছে ব্যাঙ্কগুলি।
আরও পড়ুন: টাকা গায়েব, মেহুলে বিদ্ধ ফ্র্যাঞ্চাইজিরা
এই বিতর্কের মধ্যে বণিকসভা ফিকি-র দাবি, ১১ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে কেন্দ্র ২.৬ লক্ষ কোটি টাকা মূলধন জোগানোর পরেও আর্থিক স্বাস্থ্য শোধরায়নি। তাই এ বার ব্যাঙ্কগুলিকে বেসরকারিকরণের পথে হাঁটার কথা ভাবা উচিত।
ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠন এআইবিইএ-র আবার দাবি, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পিএনবির শীর্ষ কর্তাদের পরিচালন ব্যবস্থা থেকে দূরে রাখা হোক। হস্তক্ষেপ করুক কেন্দ্র। তাদের প্রশ্ন, এত বড় কেলেঙ্কারিতে এখনও নাম উঠছে শুধু নীচু তলার অফিসারদের। তা আদৌ সম্ভব কি?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy