—প্রতীকী ছবি।
শপিং মলে ভৌতিক পরিবেশ!
অতিমারির সময় থেকেই বৈদ্যুতিন মাধ্যমে বাজার-হাট সারার প্রবণতা বেড়েছে মধ্যবিত্তদের উল্লেখযোগ্য অংশের মধ্যে। আর উচ্চবিত্তদের মধ্যে বেড়েছে বড় শপিং মল থেকে কেনাকাটার অভ্যাস। যেখানে এক ছাদের নীচে রয়েছে বৈচিত্রের সমাহার। ফলে ছোট শপিং মলগুলি পড়ে গিয়েছে অস্তিত্বের সঙ্কটে। আবাসন ক্ষেত্রের পরামর্শদাতা সংস্থা নাইট ফ্র্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে এমনই উঠে এসেছে। তারা জানাচ্ছে, ৪০% কিংবা তার বেশি অংশ অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, এমন মলের (পোশাকি ভাষায় ঘোস্ট মল বা ভুতুড়ে মল) সংখ্যা দেশে উত্তরোত্তর বাড়ছে। কলকাতার মলে অব্যবহৃত জায়গা বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ, ২৩৭%।
শিল্প বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, করোনাকাল থেকেই সাধারণ মানুষ পছন্দের কেনাকাটা থেকে হাত গুটিয়ে রয়েছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.৪% হলেও ব্যক্তিগত চাহিদা বৃদ্ধি মাত্র ৩.৫%। যে মাপকাঠি জিডিপির ৬০% জুড়ে রয়েছে। এই মন্থর চাহিদার প্রভাব পড়েছে ছোট মলগুলির উপরে। অনেক ছোট ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁরা না ব্যবসা চালাতে পারছেন ভুতুড়ে মলে, না বড় মলে দোকান কিনতে বা ভাড়া নিতে পারছেন। সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, এই প্রবণতা বজায় থাকলে কাজের বাজারে তার বিরূপ প্রভাব পড়তে বাধ্য। ‘থিঙ্ক ইন্ডিয়া থিঙ্ক রিটেল ২০২৪’ রিপোর্ট প্রকাশ করে নাইট ফ্র্যাঙ্ক কর্তা গুলাম জিয়া বলেন, ‘‘এমন চললে বহু শপিং মল ঝাঁপ বন্ধ করতে বাধ্য হবে।’’
মোট ২৯টি শহরের মলগুলিকে নিয়ে নাইট ফ্র্যাঙ্কের এই সমীক্ষা। যার মধ্যে রয়েছে কলকাতা-সহ দেশের আটটি বড় শহরও। সেখানে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী এই সমস্ত শহরে মলগুলিতে মোট ১.৩৩ কোটি বর্গফুট জায়গা ফাঁকা পড়ে রয়েছে। নির্মাণকারী সংস্থাগুলির মিলিত ক্ষতির অঙ্ক ৬৭০০ কোটি টাকা। এমন মলের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৪। মলে সবচেয়ে বেশি অব্যবহৃত জায়গার নিরিখে এগিয়ে দিল্লি ও রাজধানী সংলগ্ন অঞ্চল।
সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy