—প্রতীকী চিত্র।
ভারতীয় ঋণপত্রে গত মাসে ১৯,৮০০ কোটি টাকারও বেশি ঢেলেছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। যা ছ’বছরের বেশি সময়ে সব থেকে বেশি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এ দেশের সরকারি বন্ডের (ঋণপত্র) জেপি মর্গ্যান সূচকে শামিল হওয়াই এর প্রধান কারণ। তবে জানুয়ারিতে শেয়ার বাজার থেকে বেরিয়েছে ২৫,৭৪৩ কোটির বিদেশি লগ্নি। গন্তব্য মূলত আমেরিকার বন্ড বাজার। যেখানে ঋণপত্রের ইল্ড বা প্রকৃত আয় বাড়ছে সে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভ এখনই সুদ কমানোর সম্ভাবনা খারিজ করায়।
আন্তর্জাতিক সূচকের আওতায় উন্নয়নশীল দেশগুলির ঋণপত্র বিশ্ব বাজারে বিক্রি করে জে পি মর্গ্যান। গত বছর ভারতের বেশ কিছু সরকারি বন্ড তাতে সংযুক্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে। বিশেষজ্ঞদের আশা ছিল, এতে ভারতীয় বন্ডের কদর বাড়বে বিশ্বে। লগ্নির ঠিকানা হিসেবে বাড়বে দেশের বিশ্বাসযোগ্যতা। বিদেশি লগ্নি বাড়বে দেশীয় ঋণপত্রের বাজারে। গত মাসে সেটাই হয়েছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এর আগে ২০১৭ সালের জুনে এখানে বিদেশি লগ্নি ঢুকেছিল ২৫,৬৮৫ কোটি টাকা। তার এত দিন পরে এটাই সর্বাধিক।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ঘোষণা অনুসারে আগামী জুন থেকে ওই ঋণপত্র সূচকে ভারতীয় বন্ড যুক্ত হলে বিশ্ব বাজার থেকে কম সুদে তহবিল সংগ্রহের পথ খুলবে। শুধু ঋণপত্র নয়, শেয়ার বাজারও চাঙ্গা হবে এতে। টাকার দাম বাড়বে। সার্বিক ভাবে পোক্ত হবে অর্থনীতি। বিশেষত সম্প্রতি অন্তর্বর্তী বাজেটে যেহেতু আগামী অর্থবর্ষে এ দেশের রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্য কমিয়ে জিডিপি-র ৫.১ শতাংশ নামিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তার পরের অর্থবর্ষে তা ৪.৫%। ফলে আগামী দিনে শেয়ারেও বিদেশি লগ্নি বাড়বে বলেই ধারণা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy