—প্রতীকী চিত্র।
এক দিকে খরিফ শস্যের ফলন কমার আশঙ্কা। অন্য দিকে রবি মরসুমে কিছু শস্যের বীজ বোনার কাজের ঢিমেতালে এগোনো। এই দুইয়ের ধাক্কাই নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হারকে শ্লথ করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার রিপোর্টে। তাদের অনুমান, তা নামতে পারে ৬ শতাংশেরও নীচে। চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক, অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রের জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী আর্থিক বৃদ্ধি ছুঁয়েছে ৭.৬%। প্রথম ত্রৈমাসিক, অর্থাৎ এপ্রিল-জুনে তা হয়েছিল ৭.৮%।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, গত দু’টি ত্রৈমাসিকে মূলত তিনটি চাকায় ভর করে অর্থনীতির রথে গতি এসেছিল। এগুলি হল, খনি, কারখানায় উৎপাদন এবং নির্মাণ। কিন্তু কৃষিতে রথের চাকা আটকে গিয়েছে অনিয়মিত বৃষ্টির জালে। বর্ষার মরসুম অগস্টে তেমন বৃষ্টি হয়নি। ফলে সব ফসলেরই উৎপাদন মার খেয়েছে। যে কারণে চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্র ৭.৩% বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিলেও, কৃষি ক্ষেত্রে বৃদ্ধির অনুমান আটকেছে ২ শতাংশের নীচে। গত ত্রৈমাসিকেও সেখানে বৃদ্ধির হার ১.২ শতাংশে আটকায়। যা চিল গত সাড়ে চার বছরে সবচেয়ে কম। কৃষি উৎপাদন শ্লথ হলে বাজারে খাদ্যপণ্যের জোগান কমে এবং মূল্যবৃদ্ধি মাথাচাড়া দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ইক্রা জানিয়েছে, তাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের নজরদারির সূচক নভেম্বরের পরে ডিসেম্বরেও কমেছে। তার ৮.১% হার ছ’মাসের মধ্যে সব থেকে কম। উৎসবের মরসুম শেষে কর্মকাণ্ড শ্লথ হওয়া থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ ও পেট্রলের চাহিদা কমার মতো অনেক কিছুই এর কারণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy