Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Indian Spices

ভারতীয় মশলার পরীক্ষা অস্ট্রেলিয়াতেও

সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে বাজার থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে এভারেস্টের মাছ রান্নার মশলা। সেটি এবং এমডিএইচের আরও তিনটি মশলায় নিষেধাজ্ঞা বসেছে হংকংয়েও।

—প্রতীকী চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
হায়দরাবাদ ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৪ ০৬:০৫
Share: Save:

ভারতীয় মশলা সংস্থা এমডিএইচ এবং এভারেস্টের কিছু পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আন্তর্জাতিক বাজারে। সেগুলি সত্যিই স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক কি না, তা নিয়ে এ বার তদন্ত শুরু করছে অস্ট্রেলিয়াও। সে দেশের খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইতিমধ্যেই তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে সিদ্ধান্ত নেবে ওই সব মশলা তাদের বাজার থেকেও তুলে নেওয়ার দরকার কি না। এর আগে একই পথে হেঁটেছে আমেরিকার খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। জানিয়েছে, ভারতীয় সংস্থা দু’টির বিভিন্ন মশলা সম্পর্কে বাড়তি তথ্য জোগাড় করছে তারা।

সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে বাজার থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে এভারেস্টের মাছ রান্নার মশলা। সেটি এবং এমডিএইচের আরও তিনটি মশলায় নিষেধাজ্ঞা বসেছে হংকংয়েও। পর পর দু’টি ভারতীয় সংস্থার মশলা এ ভাবে বিদেশের বাজারে ধাক্কা খাওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে সরকার এবং ভারতীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রকও। বিশেষত ওই অভিযোগ যেহেতু মশলাগুলিতে অতিরিক্ত মাত্রায় এথিলিন অক্সাইড থাকা নিয়ে। যা শরীরে বেশি পরিমাণে প্রবেশ করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর এবং দীর্ঘ দিন ধরে তা খাওয়া হলে ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে।

এ দিন অস্ট্রেলিয়া নিউজ়িল্যান্ড ফুড স্ট্যান্ডার্ড জানিয়েছে, ‘‘আমরা আন্তর্জাতিক দুনিয়ার বাকিদের মতোই বুঝতে চেষ্টা করছি বিষয়টি। যুক্তরাষ্ট্রীয়, প্রাদেশিক এবং আঞ্চলিক খাদ্য বিষয়ক তদন্তকারী সংস্থাগুলির মারফত খতিয়ে দেখছি অস্ট্রেলিয়ায় পরবর্তী কোনও পদক্ষেপ করতে হবে কি না।’’ তাদের বার্তা, সেই পদক্ষেপই হতে পারে বাজার থেকে মশলাগুলি তুলে নেওয়া এবং বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা। অস্ট্রেলীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দাবি, তাদের দেশে বিক্রি হওয়া কোনও খাবারে এথিলিন অক্সাইড ব্যবহারের অনুমতি নেই। এ নিয়ে এমডিএইচ এবং এভারেস্টের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে এর আগে দুই সংস্থাই দাবি করেছে, তাদের তৈরি পণ্য খাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।

বিদেশে ভারতীয় মশলার কদর বরাবরের। বিশ্বের সব থেকে বড় মশলা প্রস্তুতকারী, ব্যবহারকারী এবং রফতানিকারী ভারত। আর এভারেস্ট এবং এমডিএইচের বিভিন্ন ব্র্যান্ড দেশে তো জনপ্রিয় বটেই। তাদের বিরাট বাজার ছড়িয়ে ইউরোপ, এশিয়া এবং উত্তর আমেরিকাতেও। এই পরিস্থিতিতে অভিযোগ সামনে আসায় দেশেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সংস্থা দু’টির রফতানি সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছে কেন্দ্র। এ দিন হংকংয়ের খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেন্টার ফর ফুড সেফটি বলেছে, পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সে দেশের ভারতীয় দূতাবাসকে মশলা পরীক্ষার ফল জানিয়েছে তারা। তবে সেই ফল কী এবং পরের পদক্ষেপ বলতেই বা কী বোঝানো হয়েছে, তা বলা হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Indian Spices Australia India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE