Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

বাজার বাড়াতে কোমর বাঁধছে দুই গাড়ি সংস্থা

ভবিষ্যতে বাজার বাড়ানোর কথা মাথায় রেখে এগোচ্ছে দেশের দুই প্রথম সারির গাড়ি সংস্থা মারুতি-সুজুকি এবং মহীন্দ্রা। এক দিকে মহীন্দ্রা মহারাষ্ট্রের চাকনে কারখানা সম্প্রসারণে ৪,০০০ কোটি টাকা লগ্নির কথা ঘোষণা করল বৃহস্পতিবার। সাত বছরে এই টাকা লগ্নি করে সেখানকার উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করার কথা তারা জানিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৪ ০২:৪৭
Share: Save:

ভবিষ্যতে বাজার বাড়ানোর কথা মাথায় রেখে এগোচ্ছে দেশের দুই প্রথম সারির গাড়ি সংস্থা মারুতি-সুজুকি এবং মহীন্দ্রা।

এক দিকে মহীন্দ্রা মহারাষ্ট্রের চাকনে কারখানা সম্প্রসারণে ৪,০০০ কোটি টাকা লগ্নির কথা ঘোষণা করল বৃহস্পতিবার। সাত বছরে এই টাকা লগ্নি করে সেখানকার উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করার কথা তারা জানিয়েছে।

অন্য দিকে, মারুতি-সুজুকি-র চেয়ারম্যান আর সি ভার্গব সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, কয়েক বছরেই অন্তত দুটি নতুন গাড়ি (যে ধরনের গাড়ি এখন তাদের নেই) বাজারে আনবেন তাঁরা। বছরে ৩০ লক্ষ গাড়ি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে আগামী দিনে সংস্থাটির ভাঁড়ারে ২৫টি গাড়ি থাকা দরকার। যা এখনকার চেয়ে দ্বিগুণ।

গত বছর ধাক্কা খাওয়ার পরে সম্প্রতি দেশের গাড়ি শিল্প কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এবং সংস্থাগুলির আশা, কম উৎপাদন শুল্কের মতো সরকারি সহায়তা আরও কিছুু দিন বহাল থাকলে সুদিন বজায় থাকবে। এই পরিস্থিতিতে মারুতি ও মহীন্দ্রার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, ভ্যাট ফেরত নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে সংঘাতের কারণে চাকন কারখানার সম্প্রসারণ স্থগিত রেখেছিল মহীন্দ্রা। এ দিন অবশ্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ ও সরকারের শীর্ষ কর্তাদের উপস্থিতিতে মহীন্দ্রা গোষ্ঠী কারখানা সম্প্রসারণে লগ্নির কথা ঘোষণা করেন। এই লগ্নি হলে কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে হবে ৭.৫০ লক্ষ। গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান আনন্দ মহীন্দ্রা জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্র সরকারের শিল্পনীতি ও প্রশাসনিক দক্ষতা দেখেই তাঁরা কারখানার উৎপাদন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

পাশাপাশি, মহীন্দ্রার এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর পবন গোয়েন্কা জানান, পরিকাঠামো নির্মাণ, নতুন গাড়ি তৈরি ও উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতেই ওই লগ্নির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

পিছিয়ে নেই মারুতি-সুজুকি-ও। ভার্গব বলেন, “এখন আমরা বাজারের ৭৯% দখল করেছি। কারণ এসইউভি-র মতো কয়েক ধরনের গাড়ি আমাদের নেই।” তাঁর বক্তব্য, দেশের গাড়ি বাজারের (দামি ছাড়া) ১০০% ক্ষেত্রে উপস্থিতির প্রয়োজন হলে এবং বছরে ৩০ লক্ষ গাড়ি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে ২৫টি গাড়ি প্রয়োজন। এখন ১২টি গাড়ি রয়েছে সংস্থার।

ভার্গব অবশ্য জানান, কয়েক মাসেই তাঁরা প্রথম এসইউভি বাজারে আনবেন। যেটি রেনো-র ডাস্টারের সঙ্গে টক্কর দেবে। ২০১৬-তে আসবে তাঁদের প্রথম চার মিটারের চেয়ে ছোট এসইউভি। যে গাড়ির চাহিদা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি বাণিজ্যিক গাড়ি বাজারে ব্যবসা ধরতে এক টনের একটি হালকা বাণিজ্যিক গাড়িও আনছেন তাঁরা।

সব মিলিয়ে নতুন করে কোমর বাঁধছে সংস্থাগুলি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE