কিছু দিন আগে পর্যন্তও রমরমা ছিল রেমিংটন টাইপরাইটারের। কম্পিউটার প্রযুক্তির ধাক্কায় তার দীর্ঘ ঐতিহ্য ধূলিসাত্।
প্রতিযোগিতার বাজারে যাত্রী টানতে বিমান সংস্থাগুলি নানা কৌশল নিচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়া সেই মান্ধাতার আমলের কাঠামো নিয়ে ঋণভারে ধুঁকছে।
সঙ্কটে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড কোডাক।
বাজারে টিকে থাকতে হলে সংস্থা পরিচালনায় পরিবর্তন আনা কতটা জরুরি? এ নিয়েই বুধবার সিআইআই-সুরেশ নেওটিয়া সেন্টার অব এক্সেলেন্স ফর লিডারশিপের সভায় আলোচনায় বসেছিলেন বিভিন্ন সংস্থার কর্তারা। অম্বুজা-নেওটিয়ার চেয়ারম্যান হর্ষ নেওটিয়া, টিআইএল-এর সিএমডি সুমিত মজুমদার, টাটা স্টিলের এমডি টিভি নরেন্দ্রন, বামা লরির সিএমডি বীরেন্দ্র সিংহের কথায় উঠে এল এক সময়ের ওই সব নামী সংস্থার উদাহরণ। প্রযুক্তি ও বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবর্তনের পক্ষেই সওয়াল করেন তাঁরা।
যেমন বীরেন্দ্র সিংহের বক্তব্য, চা ব্যবসাই এক সময়ে ছিল বামা লরির মূল পরিচয়। পরিবর্তনের পথে হেঁটে সেই ব্যবসা থেকে সরে এসেছে সংস্থাটি। একই ভাবে তিনি বলেছেন, বহুজাতিক সংস্থা জিই-র সাফল্য ধরে রাখার কথা। আবার গুগলের চালকবিহীন গাড়ি তৈরির মতো একেবারে ভিন্ন পথে হাঁটার কথা তুলেছেন নরেন্দ্রন।
সংস্থার কর্তাদের মতে পরিবর্তনে আপত্তি ওঠে সংস্থার ভিতরেই। বিশেষ করে ইউনিয়নের মধ্য থেকে। সুমিতবাবুর মতে, আসলে দীর্ঘদিন এক ভাবে কাজ করার স্বাচ্ছন্দ্যের বৃত্ত ছেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তার অন্যতম কারণ। বীরেন্দ্রবাবুর মন্তব্য, অনেকেই ধরে নেন চাকরিটা সারা জীবনের জন্য। কিন্তু বদল আনতে না-পারলে যদি সংস্থাই বন্ধ হয়ে যায়, তা হলে চাকরির কী হবে, প্রশ্ন নরেন্দ্রনের।
আর সেই বদলের প্রয়োজনীয়তার কথা আগাম অনুমান করতে হবে সংস্থার নেতৃত্বকে। না-পারলে সংস্থার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নিয়েই শঙ্কা তৈরি হবে, মত তাঁদের। যে বদলের আগাম পরিকল্পনাই এখনও বামা লরির মাথা উঁচু করে টিকে থাকার কারণ, দাবি বীরেন্দ্রবাবুর। পরিবর্তনের পথে বাধা আসবেই, দাবি সুমিতবাবুর। তবে তাঁর যুক্তি, যাঁরা বদলে বিশ্বাসী নন, এগিয়ে চলার পথে কেন বদল জরুরি, তা তাঁদের বোঝাতে হবে কর্তাদেরই। এ জন্য উভয়ের তথ্য আদান-প্রদান জরুরি। সেই পথেই বিরোধিতাকে জয় করার অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে বীরেন্দ্রবাবুর কথায়। তিনি জানান, বিদেশে ইস্পাত শিল্পে উত্পাদন ব্যবস্থা চাক্ষুষ দেখানো হয়েছিল টাটা স্টিল ইউনিয়নকে। যা পরিবর্তনের গুরুত্ব বোঝাতে তাঁদের সাহায্য করেছিল। তাই সুমিতবাবুর মতে, ঐতিহ্য ভাল। আবার ঐতিহ্য খারাপও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy